নিজস্ব প্রতিবেদক
চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ কিউই জিগুয়াং ও জিং গ্যাংশান শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বন্দরে প্রশিক্ষণ নৌবহরকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা দূতাবাসের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি এবং চীনা নাগরিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চীনা নাগরিকরা বিপুল উৎসাহে চীন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারা চীনা নৌবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব যেন দীর্ঘজীবী হয়, তা প্রত্যাশা করেন। নৌ বহরের চারদিনের শুভেচ্ছা সফরকালে চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে একযোগে কাজ করবে।
চীনের নৌবহর চার বছর পর বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফরে এলো। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম কোনো বিদেশি নৌবহরের বাংলাদেশ সফর। চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করার জন্য এ সফরটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
পরে সফররত নৌ-বহরের কিউই জিগুয়াং ও জিং গ্যাংশান কমান্ডারদের নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্লিট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মঈনুল হাসান ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যাই হোক না কেন, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের প্রতিশ্রæতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, চীন আমাদের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় করতে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতাকে অধিকতর গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আগ্রহী।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার।
চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিষয়ে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে। উভয় পক্ষই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে তাদের দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছে এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চীনের নৌ-বহরের সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের চার বছর পর, এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর এটিই বাংলাদেশে প্রথম কোন রাষ্ট্রের নৌ-বহর সফর। চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সফরটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।