নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবর এবং একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা না হলেও স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলা চালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। আহত অপরজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর সিভয়েসের
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈকত এলাকায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে দর্শনার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবর ও একজন দর্শনার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পতেঙ্গা সৈকতের স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঢাকাইয়া আকবর, একজন নারী এবং অন্য চারজন ছেলেসহ মোট ৬ জন ২৮ নম্বর দোকানে বসেছিলেন। দোকানের এক ছেলে তারা কী অর্ডার করবেন জিজ্ঞেস করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে একজন আকবর নামে ওই যুবককে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এ সময় আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি গুলিবিদ্ধ হন।’
ওই ব্যবসায়ী আরো বলেন, ‘আকবরের সাথে থাকা চারজন ছেলে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালায়। আর নারী যিনি ছিলেন তিনি গুলিবর্ষণকারীদের সাথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় একজন চা দোকানি নারীর ছোট ছেলেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’
এদিকে একটি সূত্র বলছে, কারাবন্দী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলছে। সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে পুলিশে দেওয়ার পেছনেও ঢাকাইয়া আকবরের হাত রয়েছে এমন ধারণা সাজ্জাদের। সেই ক্ষোভ থেকেই আকবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনো হামলাকারী কারা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করতে পারেনি। নগর পুলিশের বন্দর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সোহেল পারভেজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর হঠাৎ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আকবর নামে এক যুবক এবং একজন দর্শনার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আকবরের শরীরে ৩-৪টি গুলি লেগেছে। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলাকারী কারা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ এবং ঢাকাইয়া আকবর বিদেশে পালানো দুর্ধর্ষ ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন খান প্রকাশ বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। সম্প্রতি আকবরের সঙ্গে গুরু বড় সাজ্জাদের সম্পর্কের বৈরিতা হয়। আর ছোট সাজ্জাদকে রাজধানীর একটি শপিংমল থেকে গত ১৫ মার্চ রাতে পুলিশে দেওয়া হয়। ১০ মে রাতে নগরের চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকেও।