শীতের কাঁপনে গ্রামে গরম কাপড় বিকিকিনির ধুম

1

মো. এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি

শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সর্বত্রই শীতে জবুথবু অবস্থা। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। উষ্ণতা পেতে তারা ঝুঁকেছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দিকে। তাই উপজেলার প্রতিটি বাজারে গরম কাপড় বিকিকিনি বেড়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরাও ভ্যানে করে উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে গরম কাপড় বেচাকেনা করছেন।
উপজেলার বিবিরহাটের ১নং রাস্তার মাথা, নাজিরহাটের ঝংকার মোড়, মাইজভান্ডার এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র। সেখানে পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। এছাড়া উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ও টিলা শ্রেণির হওয়ায় সেখানকার নিম্ন আয়ের বাসিন্দারাও পুরাতন গরম কাপড় ক্রয় করতে দেখা গেছে। পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, ছোট ও বড়দের বেøজার, বিভিন্ন ডিজাইনের মাফলার বিক্রি হচ্ছে বেশি।
উপজেলার নারায়ণহাট এলাকায় হেঁয়াকো-গহিরা সড়কের লাগোয়া মো. আব্দুল কাদের মৌসুমি ব্যবসায়ির দোকানে বিকিকিনির ধুম পড়েছে। তিনি জানান, শীত মৌসুমে তিন মাস এ ব্যবসায় করেন। তিনি ৭ বছর যাবৎ এ ব্যবসা করে আসছেন। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকার মধ্যে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আব্দুল কাদেরের দোকানে আসা ক্রেতা সুজন মজুমদার, মহিন উদ্দিন, মো. পারভেজ বলেন, এ বছর শীত বেশি পড়েছে। কম দামে এখান থেকে গরম কাপড় কিনতে এসেছি। গরম কাপড় কিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
ভ‚জপুর এলাকার মাওলানা নেজাম উদ্দিন বলেন, গরম কাপড় কিনে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রদান করেছি।
মাইজভান্ডারে ইউপি সদস্য তৌহিদুল আলম বলেন, খুব শীত পড়ছে। আমার এলাকায় কিছু হতদরিদ্র মানুষকে গরম কাপড় উপহার দেয়ার জন্য কয়েকটি জ্যাকেট নিয়েছি কম দামে।
মেয়ের জন্য ২৫০ টাকা দিয়ে গরম কাপড় কিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাইজভান্ডার এলাকার বাবর মিয়াও। ভ্যানে করে গরম কাপড় বিক্রি করতে আসা কয়েকজন জানান, চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এবং রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে এ গরম কাপড় কিনে ফটিকছড়ির বিভিন্ন মোড়ে বিক্রি করছেন তারা। সন্ধ্যার দিকে বিক্রি বেশি হয় বলে জানান বিক্রেতারা।