নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম ছিল চড়া, তবে শীতের আগমন উপলক্ষে দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে নতুন করে সরবরাহ বাড়ানোর ফলে সবজির দাম এখন অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, শীত আরও ঘনিয়ে আসলে দাম আরো কমে যাবে।
গত শুক্রবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, সবজির সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে এবং দাম অনেকটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকায়, বরবটি ৬০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, শসা ৫০ টাকায়, গাজর (দেশি) ৮০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিপিস ১০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, ফুল কপি কেজি ৫০ টাকা, জালি ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, বাঁধা কপি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রহমত উল্লাহ জানান, কয়েক মাস ধরে সবজির দাম ছিল অতিরিক্ত। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সবজি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে, গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। আজকের বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, যা প‚র্বে ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। তিনি আরো বলেন, শীতের কারণে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল হক জানান, বর্তমান বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। দাম কমাও বিক্রি বেড়েছে। শীতের সময়ে সাধারণত সবজির দাম কম থাকে এবং এই প্রবণতা আগামী দিনে আরো বাড়বে। শীতের প্রভাব পড়ার পর সবজির দাম আরও কমে আসবে বলেই আশা করছেন তিনি।
মুরগির বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, কক মুরগি ২৬০ থেকে ২৯০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় এবং দেশি মুরগি ৫৩০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও বেড়েছে। ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, আর হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়।গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়, খাসির মাংস ১,২০০ টাকা কেজি দরে।
মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত। বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা ৮৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় রুই ৫০০ টাকা, মাঝারি রুই ৪৬০ টাকা, ছোট রুই ৩৬০ টাকায়, কাতলা ৩৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮৫০ টাকা ও টেংরা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ পূর্বদেশকে বলেন, বাজারদর স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাজার মনিটরিং প্রতিনিয়ত চলছে। কোনো সিন্ডিকেটকে সুযোগ দেওয়া হবে না।











