মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম
বর্তমান যুগ গণতান্ত্রিক যুগ, সমতার যুগ, বৈষম্যহীন ও কল্যাণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুগ। পুরুষের সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে নারী তার অবস্থান জানান দিচ্ছে। কিন্তু এসময়ও বিভিন্ন দেশে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীরা এখন কাজের জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছে। জ্ঞান বিজ্ঞান,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,গবেষনা,শিল্প-সাহিত্য, ব্যবসা-রাজনীতি, সিনেমা, যুদ্ধ ক্ষেত্র ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা লক্ষ্যণীয়। তবুও নারীরা এখনও বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত, নির্যাতিত ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পরিবারের মধ্যে আপনজন কর্তৃক নারী নির্যাতিত হচ্ছে। কর্মস্থল, পরিবহনে, যাতায়াত ব্যবস্থায় পথে ঘাটে নারীও কন্যা শিশুরা ইভটিজিং ও যৌন সহিংসতা ইত্যাদির শিকার হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। তাই সঙ্গত কারনেই নারী ও কন্যার উন্নয়নের জন্য অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। এগুলোই নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক জীবনে সমান অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে তারা সমাজে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সমাজের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে নারী ও কন্যার উন্নয়নে অধিকার, সমতা এবং ক্ষমতায়নকে সচেতনভাবে সমর্থন ও বাস্তবায়িত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার, সম্মান ও ক্ষমতায়নের বার্তা নিয়ে পালিত হয়। দিবসটি কেবল উদযাপনের জন্য নয়, বরং নারীর প্রতি বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমতার পথ সুগম করার আহবানও বটে। ২০২৫ সালের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে ‘ঋড়ৎ অষষ ডড়সবহ ধহফ মরৎষং: জরমযঃ, ঊয়ঁধষরঃু, ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ’ (অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন)। প্রতিপাদ্য বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়, যা নারীর অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের মধ্যে অন্যতম এবং প্রধান বিষয় হচ্ছে অধিকার। সমাজের প্রতিটি স্তরেনারী ও কন্যারসম্মান ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা তাদের সার্বিক উন্নয়নের প্রথম শর্ত। তা বাস্তবায়নে নিম্নের অধিকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন- ক) মানবাধিকার : নারী ও কন্যার মানবাধিকার নিশ্চিত করা তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এতে তাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়, যা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নারীদের জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, যে কোনো বৈষম্যরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা, কাজের সুযোগ, সমান মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত, শারীরিক মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি অধিকারগুলো নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজে নারী ও কন্যার অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
খ) আইনী সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার : নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, বাল্য বিবাহ, জোরপূর্বক বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা দরকার। নারীদের যৌন হয়রানি, গৃহ নির্যাতন, মানব পাচার থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তবে সমাজে নারীরা নিজের দৃঢ় অবস্থান এবং ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এবং উন্নত ও ন্যায়সঙ্গত জীবনের অধিকারী হতে পারবে।
গ) সম্পত্তির অধিকার : উত্তরাধিকার, সম্পত্তি ও সিদ্ধান্তগ্রহণে সমান অধিকার নিশ্চিত করলে নারী, কন্যা আরো স্বাধীন ও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
এখানে আইনী সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারের জায়গায় নারীও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, বাল্য বিবাহ, জোরপূর্বক বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা দরকার। নারীও শিশুদের যৌন হয়রানি, গৃহ নির্যাতন, মানব পাচার থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশব্যাপি ধর্ষনের মাত্রা যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তা শুধু উদ্বেগজনক নয় বরং এটা নারী উন্নয়ন ও নারীর অগ্রযাত্রার পথে বড় ধরনের অন্তরায়। পূর্বের নারী ও শিশু ধর্ষণের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলোর সত্যিকারের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বর্তমানে চলমান ধর্ষণ ঘটনাগুলো না ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকতো। কিন্তু অতীতের বিচারহীনতার কারণে বর্তমানে এই অপরাধের সংখ্যা বেশি হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’র প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৪ সালে মোট ১৯৯ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল যা পরবর্তী বছর ২০১৫ সালে অনেক বেশী বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৫ সালে মোট ৫২১ ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল এবং এর মধ্যে প্রায় ৬২% এর বেশি হচ্ছে শিশু ধর্ষণের ঘটনা। ২০১৮ সালের চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা, একই বছর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে নারীকে ধর্ষন, ২০১৯ সালেচট্টগ্রামের চান্দগাঁও’র এনজিও কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহকর্মী শিশু রাত্রীকে (১৪) গৃহে আটক রেখে ধর্ষণ এবংএকই বছর হাটহাজারীর চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী তুহিনকে (১৩) ধর্ষণ করে খুন ও লাশ গুমের ঘটনাগুলো ঘটেছিল এবং যেগুলোর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এখনও ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণ আন্দোলন করছে। এ মামলাগুলোর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলে ২০২২ সালে চট্টগ্রামের হালিশহরের বর্ষা (৭) ধর্ষন ও হত্যা, ২০২৩ সালের কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের শিশু ধর্ষণ এবং ঘটনা আড়াল করতে করা ট্রিপল মার্ডার, ২০২৪ সালের ঢাকার আসমা (৯) ধর্ষণ ও হত্যা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া আছিয়া (৮) ও নিলুফা (১১) লোমহর্ষক ধর্ষণ ঘটনাগুলো আর ঘটানো যেত না বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞও মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন।আইন ও শালিস কেন্দ্র’র প্রতিবেদন অনুযায়ী গেল দুই মাসে সারা দেশে ৮৫ টি নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা একটি বড় সামাজিক সমস্যা, যার ন্যায়বিচার দ্রূত নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিচারিক প্রক্রিয়া,আইনগত কাঠামো ও বিভিন্ন সংস্থার সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসমূহের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে এইরকম ঘটনাগুলোর আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এবং অপরাধীরা ভয় পাবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের পথে বাধাসমূহ উল্লেখ করা হলো: (১)বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা : মামলার নিষ্পত্তি অনেকসময় দীর্ঘসময় নেয়, ফলে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়। দীর্ঘসূত্রতার কারণে মামলার আলামত নষ্ট হয়। (২) আইনী প্রক্রিয়ার জটিলতা : ভুক্তভোগীরা বিচার ব্যবস্থার জটিলতা বুঝতে পারে না এবং আইনী সহায়তা নিতে প্রয়োজনীয় খরচ বা সময় ব্যয় করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ফলে মামলা চালাতে চায় না। (৩) সাক্ষীর নিরাপত্তাহীনতা : অনেকে ভয়ভীতির কারনে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয় না, ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। (৪) প্রভাবশালী অপরাধীদের হস্তক্ষেপ : অনেকসময় প্রভাবশালী অপরাধীরা মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। (৫) প্রমাণ সংগ্রহ ও ফরেনসিক সুবিধার অভাব : অপরাধের যথাযথ তদন্তের জন্য ফরেনসিক সুবিধার অভাব থাকে। (৬) সামাজিক ও পারিবারিক চাপ : ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সামাজিক চাপ ও লজ্জার কারণে অনেকসময় আইনি সহায়তা নিতে ভয় পায়। (৭) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেস’র অভাব : অনেক গৃহকর্মী শিশু জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ছাড়াই কাজ করে, যা আইনী সহায়তা পেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। (৮) নিয়োগের অনানুষ্ঠানিকতা : গৃহকর্মীদের নিয়োগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৌখিকভাবে হওয়ায় কোনো লিখিত চুক্তি থাকে না। ফলে আইনের দৃষ্টিতে তাদের অধিকার প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক বাস্তবতা এই যে, প্রতিদিনই নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা শিরোনামে আসে, গৃহকর্মীনির্যাতন, যৌন নিপীড়িন, ধর্ষণ ও পাচারের মতো অপরাধগুলো এখনো সমাজে বিদ্যমান। আইন ও নীতি অনুযায়ী কোনো নির্যাতিত নারী, শিশুকে আইনগত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। নির্যাতিতদের আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের পেতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সচেতন, মানবিক, সহানুভূতিসম্পন্ন এবং আইনি হতে হবে। বিচারব্যবস্থায় নারী শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া গ্রহণ করার ব্যাপারে মিডিয়া, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, উন্নয়ন কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীসহসকল স্তরের সমাজের মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শিশু ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন মামলাসমূহের ন্যায়বিচারের স্বার্থে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগেুলো নেওয়া যেতে পারে: (১) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (২) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী, মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার কথা। বাস্তবে অনেক মামলা দীর্ঘসময় ধরে বিচারাধীন থাকে যা ভুক্তভোগীদের হতাশ করে। এটাকেআরও কমিয়ে আনা জরুরি এবং সময়ের দাবী। (৩) শিশু শ্রম নিরোধ আইন, ২০০৬ অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে শিশুদের নিযুক্তি নিষিদ্ধ, তবে গৃহকর্মকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘ঝুঁকিপূর্ণকাজ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। (৪) গৃহকর্মীদের নির্যাতনের ঘটনায় প্রায়শই ভয়,লজ্জার কারনে নির্যাতনের বিষয় গোপন রাখা হয়, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মামলা দায়ের ও বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে, এই ধরনের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। (৫) ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য যেন সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করা হয় তা নিশ্চিত জরুরী। (৬) সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য আইনগত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। (৭) ভুক্তভোগীর আইনগত সহায়তা, গোপনীয়তা, কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা জোরদার নিশ্চিত করা জরুরী। (৮) সরকারি আইন কর্মকর্তাগণ রাষ্ট্রের পক্ষে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার ন্যায় বিচারের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করতে পারেন। (৯) আইন প্রয়োগ সংস্থাগুলোর দূর্নীতি রোধ, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি, সংস্থাগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি, পুলিশ, প্রসিকিউটর ও বিচারকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়াতে হবে। (১০) পুলিশকে ঘটনার দ্রæত তদন্ত ও সঠিকভাবে প্রমাণ সংগ্রহ করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। (১১) ডিজিটাল প্রমাণ সংরক্ষণ ও উপস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। সরকারি হটলাইন (১০৯৮) মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগগুলোর রেকর্ড বিচারিক কার্যক্রমে প্রমাণ ও সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। (১২) নারীদের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে আইনি সচেতনতা তৈরি করা। আইন সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচার ও প্রসার ঘটানোর জন্য গণসচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। (১৩) অনলাইন হেল্পলাইন ও মোবাইল অ্যাপ চালু রাখার মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা বাড়াতে হবে।
জুলাই-আগস্ট পরবর্তী বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নারী ও শিশুদের প্রতি বৈষম্য দূর করে তাদের জন্য উন্নয়নের পথ সুগম করতেহবে। নারী ও কন্যার অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিবার, সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আসুন, নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়কে বাস্তবায়িত করি এবংনারী ও শিশু নির্যাতনবিশেষ করে শিশু ধর্ষণ মামলাসমুহের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখি এবং শিশুর জন্য নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টিতে কাজ করি।
লেখক : উন্নয়নকর্মী ও গবেষক