শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩%

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয়। কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, ৩৩% প্লাস-মাইনাস আমরা বাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেক্ষেত্রে ক্যাপটিভ (বিদ্যুৎ উৎপাদনে) যেটা বর্তমানে ৩১.৫০ টাকা, এটি হবে ৪২ টাকা। শিল্পখাতে বর্তমানে যেটা রয়েছে ৩০ টাকা, এটি হবে ৪০ টাকা।
নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন, সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন এই দর চলতি এপ্রিল মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান জালাল আহমেদ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সমস্ত কোম্পানি যারা পেট্রোবাংলা, পিডিবির অধীনে লাইসেন্সি, তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবো। সেই দক্ষ জনবলের আমাদের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য হয়ত আমরা তৃতীয় পক্ষের কাউকে হায়ার করবো। খবর বিডিনিউজের।
এক প্রশ্নের জবাবে জালাল আহমেদ বলেন, শিল্পে যারা নতুন আসবে, তারা বিকল্প জ্বালানির বিষয়ে চিন্তা করতে পারবে। এটা একটা সুযোগও তৈরি হবে। বিগত ১২ মাসে তিন মাস কী ধরনের নতুন কানেকশন দিয়েছে এবং আগামী ১২ মাসে কী ধরনের কানেকশন দেবে- এটা অনুসরণ করার চেষ্টা করব, একটা ট্রেন্ড বোঝা যাবে।
বিইআরসি শুনানি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
পেট্রোবাংলা বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভ) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রæত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
অন্যদিকে নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার কথা বলা হয়েছিল সেই প্রস্তাবে।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবের ওপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।
শুনানিতে ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ওই প্রস্তাবের আপত্তি তোলেন। বিশেষ করে শিল্পে দুই ধরনের দর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন উদ্যোক্তারা।