নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে স্থাপিত হেল্পডেস্কে গতকাল শনিবার ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির দাবি, ছাত্রদল বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে হেল্পডেস্কে অতর্কিতে হামলা চালায় এবং এতে তাদের তিনজন কর্মী গুরুতর আহত হন। যদিও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদুল আলম জয়। তিনি বলেন, অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সরকারি কমার্স কলেজের সামনে হেল্পডেস্ক ও অভিভাবক ছাউনি স্থাপন করেছিল ছাত্রশিবির। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে আমাদের তিনজন ভাই গুরুতর আহত হন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, মোজাহেরুল ইসলাম (শিবির মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক), কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহি।
সংগঠনটির দাবি, হেল্পডেস্ক অভিভাবকদের বিশ্রাম ও শিক্ষার্থীদের তথ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এটি বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা অতর্কিতে হামলা চালায়।
জাহিদুল আলম জয় বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধ্বংস করতে একশ্রেণির রাজনৈতিক সংগঠন পরিকল্পিতভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বাম ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রদল মিলে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করতেই এসব হামলা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এই দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
অন্যদিকে এ ঘটনায় ছাত্রদল সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, হামলার কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কলেজে কাজ করছি। আমাদের দাঁড়ানো নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল মাত্র। হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ যদি এটা টেনে লম্বা করে লাইমলাইটে আসতে চায়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।