শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

3

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে এসএন কর্পোরেশন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ আহাম্মদ উল্ল্যাহ সোহেল (৪০) নামে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল রবিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর জমিদারহাট মুমিন মাস্টার বাড়ির শাহেদ উল্ল্যাহর পুত্র।
এছাড়া দগ্ধ ৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তারা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩),আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২১), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।
গতকাল সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিলস্ তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে জাহাজ কাটার সময় পাম্পহাউজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মোট ১২ জন। এরপর তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জন হলেন সাগর (২০), রফিকুল ইসলাম (৩০), মো. রফিক (৩০) ও সাইফুল (৩০)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সূত্রে জানা যায়, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএন কর্পোরেশনের ইয়ার্ড’র ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন বলেন, শতভাগ সেফটি নিশ্চিত করে আমাদের গ্রিন ইয়ার্ডে কর্মরতরা কাজ করে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গতকাল জাহাজ কাটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ একটি পাম্পের বিস্ফোরণ ঘটলে ১২ জন শ্রমিক আহত হন। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ইয়ার্ডের হেলথ এন্ড সেফটির দায়িত্বে থাকা আহাম্মদ উল্ল্যাহ মৃত্যুবরণ করেন। বাকিদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।