শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে একযোগে কাজ করতে হবে

1

উখিয়া প্রতিনিধি

শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া উখিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৯১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে এই অঞ্চলের অনেক ছেলে-মেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে সুনামের সাথে চাকরি করে যাচ্ছে। কিন্তু বিগত ১৬ বছরে এই কলেজটি যারা পরিচালনা করেছে তারা শিক্ষার মানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কলেজটিকে পতিত স্বৈরাচার সরকারের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করেছিল তারা।
২৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় উখিয়া কলেজের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ এবং কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গেল ১৬ বছর সারাদেশে কোন কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা হয়নি। সর্বত্র দলীয়করণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গেল কয়েক বছর উখিয়া কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় মারাদ্মক ভাবে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। কলেজের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে আজকের এই অভিভাবক সমাবেশ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভা.) যারীন তাসনিম তাসিন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এডহক কমিটির সদস্য এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, এডহক কমিটির সদস্য প্রফেসর ডক্টর মোকতার আহমদ, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নুরুল হক চৌধুরী ও প্রফেসর ফজলুল করিম, সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী উখিয়া শাখার আমীর মাওলানা আবুল ফজল, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, মনজুর আলম, অভিভাবক প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির জুশান, নুরুল আমিন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তহিদুল আলম।
উপস্থিত শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনরা সীমান্তবর্তী উখিয়া কলেজটির তলানিতে যাওয়া শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেছেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকার সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উখিয়া কলেজ।
গেল ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ছিল ৩৬.০৮ শতাংশ । বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৭৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও পাস করেছে মাত্র ২৮০ জন। ফেল করেছেন ৪৯৪ জন শিক্ষার্থী। কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পায়নি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর নতুনভাবে এডহক কমিটি গঠন করা হয়।