রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘এই মঞ্চে এসে দাঁড়িয়ে যে কথা বলছি, এই সুযোগটা পেয়েছি শিক্ষার্থীদের কারণেই। কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন- এসব রাজনীতিবিদরা করেননি, করেছেন ছাত্ররাই। পরবর্তীতে হয়ত এমন কোনো সময় আসতে পারে, তখন আমরা হয়তো পুরোপুরি ছাত্রদের উপর ডিপেন্ডেট থাকবো। কারণ সামনের আন্দোলন আপনারাই করবেন। আমরা রাজনীতিবিদরা বড় বড় বক্তব্য দেই, ডিরেকশন দেই, কিন্তু কাজ যেটা করতে হয়, সেটা শিক্ষার্থীরাই করেন’।
গতকাল সোমবার সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যত হলেন শিক্ষার্থীরা। আপনার ভবিষ্যত আপনাকেই ঠিক করতে হবে। এটা করার জন্য শিক্ষার্থীদের সময়ের প্রতি যতœশীল হতে হবে, কোনো কাজে গেলে সেটার সাথে যুক্ত থাকতে হবে, দুনিয়াতে, দেশে কিংবা নিজ শহরে কি হচ্ছে সেটা জানতে হবে। এসব পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে আসবে। আশা করছি, সামনে যে ধরণের বাংলাদেশ আপনারা তৈরি করবেন, এটা দেখে আমরা গর্ব করবো। আবার আফসোসও করবো, কেনো এতো ভালো বাংলাদেশ আমরা করতে পারিনি’।
অনুষ্ঠান শেষে বিকালে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রী কলেজ, রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত কে কে এম রফিক বিন চৌধুরীর স্মরণ সভা, দোয়া মাহ্ফিল ও গুণী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে কে কে এম রফিক বিন চৌধুরী সম্পর্কে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বাবাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন অনেক একা হয়ে যাই। মাথার উপর ছাদ সড়ে যায়, মুরব্বি ছিলো না, তখন প্রাণপ্রিয় চাচা মরহুম কে কে এম রফিক বিন চৌধুরী সাহেŸ আমাকে রাজনীতি শিখিয়েছিলেন। কারাগারে আব্বার কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম, বাইরে কে কে এম রফিক বিন চৌধুরী আমাকে উনার আশেপাশে এবং আব্বার পুরাতন মানুষ যারা ছিলেন তাদের সবার সাথে এক এক করে পরিচয় করিয়ে দিতেন। বাবাকে হারিয়ে উনার উপরই অনেকটা নির্ভর ছিলাম। বাবা এবং এই চাচার মৃত্যুর পর উনাদের আদর্শ, দেশপ্রেম এবং আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করার শিক্ষাকে ধারণ করেই উনাদের দেখানো পথেই আজ রাজনীতি করে যাচ্ছি’।
রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা জজ কোর্টের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাড. কে আর এম খাইরুদ্দীন মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউছুফ মিয়া চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথি উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস মিয়া, বিএনপি নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, আব্দুল মান্নান রণি, অ্যাড. আরিফুল ইসলাম, সাহেদ কামাল তালুকদার, রেজাউল করিম সওদাগর, নাছির উদ্দীন নসু, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, বিএনপি নেতা ইসমাঈল সিকদার, আবু বক্কর তালুকদার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য কে আর এম সরফুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।