চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বরাদ্দের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। জুলাই আন্দোলনসহ নানা সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও হয়রানিতে জড়িত থাকা ছাত্রলীগের অনুসারীদেরকেও আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
তবে শিক্ষার্থীদের সে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। আবাসিক হলে আসন পাওয়া কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থী হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন কিংবা হয়রানির অভিযোগ দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আসন বাতিলও হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আমরা সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্বতিতে আসন বরাদ্দ দিয়েছি। এক্ষেত্রে কে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছে তা দেখার সুযোগ নেই। তবে হলে আসন প্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে সে শিক্ষার্থীর আসল বাতিলও হতে পারে। এসময় পরবর্তীতে হলে আসন বরাদ্দের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আসলে আমাদের হাতে খুব অল্প সময় ছিল বিধায় হলে আসন বরাদ্দের জন্য নতুন নীতিমালা করতে পারিনি। পূর্ববর্তী প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালাতেই আমরা আসন বরাদ্দ দিয়েছি। তবে আমরা নতুন নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। পরেরবার আসন বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অনুষদ ভিত্তিক পদ্বতি থেকে বেরিয়ে এসে সব হলে সব অনুষদের শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা এবং বিভাগ ভিত্তিক অনুপাতে আসন বরাদ্দ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।