শিক্ষায় অভিভাবকের আগ্রহকে কেন ফলপ্রসূ করা যাচ্ছে না?

1

অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের এক অনুষ্ঠান যেতে হলো, আলোচক হয়ে। গিয়ে দেখলাম ভালো লাগার মতো অনেক কিছু আছে। অভ্যর্থনা, যেটা দিয়ে অনুষ্ঠানের মান ও মর্যাদা বিবেচিত হয়। তাও থাকল। শুভেচ্ছা পানীয় (ওয়েল কাম ড্রিংক), অনেককে অনেকভাবে আসতে হয়। তাই এসেই তেষ্টা নিবারণ করতে পারার ব্যবস্থা রেখেছে। এতে আয়োজকদের আন্তরিকতা প্রকাশের সুযোগটা তারাও দেখি হাতছাড়া করল না। মিলনায়তনটি এ-র মধ্যে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী দিয়ে ভরে গেছে। দুই সেশনের অনুষ্ঠান। সকালে দেড় হাজার, বিকালে দেড় হাজার। প্রচন্ড তাপদহের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে খরচ একটু বাড়তি হলেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রসস্থ এই কমিউনিটি সেন্টারটিতে আয়োজনটি করতে হচ্ছে তাদের। বাইরে সেলফি জোন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ছবি তোলার জন্য। আছে আরো নানা রঙের ফ্যাস্টুন। আগতদের মন রাঙানোর আর উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার কোথাও কমতি নেই। অনুষ্ঠান শুরু হলো। দেড় হাজারের অধিক অভিভাবক-শিক্ষার্থীর সমাগম। বিরক্ত হওয়ার মত তেমন কিছু নজরে আসল না। অনুষ্ঠান এগিয়ে যায়। মনে তেমন কিছু দাগ কাটার মত চোখে পড়ে না। বা কোন কিছুতে তেমন মনোযোগের টান পড়ে না। এই রকমের অনেক অনুষ্ঠান ছোট হউক বড় হউক, অনেক সময় অনেক জায়গায় হচ্ছে, মাঝে মাঝে যেতেও হয়। এই সব অনুষ্ঠানে তত বেশি ভাবাভাবির কিছু তেমন থাকে না। বড় জোর করতালি বেশি হওয়া আর কম হওয়া।
এই সময় এক শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে চমকে উঠলাম, তার মাথায় রক্ত মাখা পট্টি। তবে মুখে উজ্জ্বল হাসি। চাঁদ মুখে আর আনন্দ ভরা চোখের উপর রক্তমাখা সাদা পট্টিটি বেমানান। হাতে পুরস্কার নিয়ে ছুটে গিয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে। মায়ের এক হাতে অন্য সন্তান আর এক হাতে গাট্টিপেটরার মত কিছু। মুখে বিরক্তির চাপ নেই। চোখে চোখ পড়তেই মনে হলো অন্যদের মত কেউ না। চোখে শ্রদ্ধা আর আন্তরিকতা। এই চোখ বিনয়াবনত, এমন শ্রদ্ধা মাখা চোখের ভালবাসা তো কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় দেখা যায়। দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠান দেখে যাচ্ছে। বোঝতে পারলাম আমাদের কোন এক ছাত্রী হবে।
আর এক শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে থেমে যেতে হলো। এক অভিভাবক তার এক কাঁধে এক ছোট শিশু আর এক কাঁধে ঝুলানো ভারি ব্যাগ। অপর হাতে মোবাইল নিয়ে ছুটে আসছে। জানা গেল সে শিক্ষার্থীর বাবা, নিজের দিকে খেয়াল নেই, সন্তানের ছবি তুলে নিতে তৎপর। তার শারীরিক কষ্টটা আমলে নিচ্ছে না। মুখ ভরা হাসির দ্যূতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কোন দিকে মনোযোগ নেই। এই মিলনায়তনের সব ফুল আর ভালোবাসার আয়োজন সব যেন শুধু একা তার সন্তানের জন্য। মিলনায়তনে অন্যদের উপস্থিতি তার আমলে নেই যেন। তাকে ও তার সন্তানকে ধন্য করার জন্য তাবৎ আয়োজন। কাঁধে রাখা শিশুটিকে সান্ত¦না দিচ্ছে। আর অপর হাতে পুরস্কার পাওয়া সন্তানের ছবি নিচ্ছে মোবাইল দিয়ে। তাকে আদর করে হলের পিছনের সিটে নিয়ে গেল ।
এই গরমে দূরদূরান্ত থেকে সন্তানদের নিয়ে এত গার্ডিয়ানের কেন ছুটে আসা এখানে, কারন একটাই সন্তানের যে কোন ছোট অর্জনও বাবা-মায়ের জন্য ‘নোবেল’। আয়োজকদের আন্তরিক আহবান আর তাদের সন্তানদের সফলতায় আনন্দিত হওয়ায় ছুটে এসেছে। সন্তানকে শিক্ষা অর্জনে আরও উৎসাহিত করার জন্য এসেছে। শিক্ষা অর্জন করে সন্তান সুন্দর জীবন লাভ করুক, সে আগ্রহে, সে প্রত্যাশায়।
কিন্ত সন্তান যত বড় হয়, উপরের ক্লাসে উঠে, স্কুল পাড়ি দিয়ে কলেজে যায় তার সাথে সাথে আগ্রহটা যায় না, তখন আগ্রহটা বাড়তে দেখ যায় না। শিক্ষার্থীদের মাঝেও আস্তে আস্তে প্রতিষ্ঠান বিমুখিতা দেখা দেয়। এতে শিক্ষার আগ্রহটাতে ভাটা পড়ে। এই আগ্রহ শিক্ষা অর্জনে কত বড় সম্পদ, যা হারিয়ে ফেললে কত বড় ক্ষতি তার মধ্যে আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকার চেষ্টা করব।
ফ্রান্সিস বেকন জ্ঞানকে তো উচ্চ মূল্য দেয়ার জন্য শক্তি বলেছে,জ্ঞানই শক্তি। তবে তিনি জ্ঞানকে ভাগ করেছেন এভাবে মাকড়সার জাল তৈরির মত জ্ঞান, যে জ্ঞান শুধু নিজের ভিতর থেকে বাহির করে জালরূপে বটে কিন্তু সে জ্ঞান জালে নিজে আটকা পড়ে জীবন হারায়, অন্য কারো কাজে আসে না। আছে পিঁপড়ার মত জ্ঞান। যা শুধু বাহির থেকে সংগ্রহ করে জমা করার , তা সাজাতে জানে না। আবার আছে মৌমাছির মত জ্ঞান, যে জ্ঞান তারা বাহির থেকে নেয়। তবে তারা তা সাজিয়ে নিতে পারে, মধুর মৌচাক তৈরি করতে পারে। মানুষের জ্ঞানকে মৌমাছির মতো বলে ধারণা করেছেন বেকন। কিন্তু মানুষ তো মৌমাছির মত নয়। মানুষ নিজের ভিতর থেকে পায়,আবার বাইর থেকেও নেয়। নিয়ে বুনতে পারে, পারে নির্মান করতে । মানুষ অনন্য ও অন্য প্রাণী থেকে অসাধারণ এবং মানুষের বিশেষত্ব এই যে অন্যপ্রাণীর মতো জ্ঞানের পুরাতন বৃত্তে থাকতে চায় না সে, ঘুরপাক খেতে চায় না, আটকে থাকে না। নতুন নতুন জ্ঞানের ও কৌশলের আবিষ্কার ও উদঘাটন করে চলে। এখানের জোরে মানুষ এগিয়ে থাকে। এই সৃজনশীলতা, প্রায়োগিকতা ও অগ্রসরমানতাতে মানুষের স্বস্তি, আনন্দ, তৃপ্তি ও নিজের জীবনের সার্থকতা খোঁজে পায়। মানুষের তাই এখানেই আগ্রহ থাকে, আগ্রহ জন্মে।
আমাদের শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় তার আভাষ কি আছে? আগ্রহ ধরে রাখার বা জন্মবার ব্যবস্থা আছে? এক কথায় তা নাই এর কোটায়, তলানিতে। অন্যদিকে প্রকৃত শিক্ষা আমাদেরকে বুদ্ধিমান করে আবার হৃদয়বানও করে। সেই বুদ্ধি আমাদেরকে চিন্তায় সুক্ষ ও ধারালো করে বটে কিন্ত বর্তমান শিক্ষা হৃদয়বান করা থেকে দূরে সরে এসেছে। ফলে এই অপূর্ণ শিক্ষায় মস্তিষ্ক যেমন অবিকশিত থেকে যাচ্ছে, হৃদয়ও সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। ফলে এই শিক্ষা আমাদেরকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে, একা বড় হতে প্ররোচনা দিতে থাকে, অন্যের ভালোমন্দের দিকে তাকানোর মানসিকতা তৈরি করে দিতে ব্যর্থ হয় । আবার সংস্কৃতি এখনও কি আর শিক্ষাবান্ধব আছে? আমাদের মানসিকতায় বর্তমান সংস্কৃতি কী দিচ্ছে? কী ভূমিকা রাখছে? পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে, নিজের উন্নতিতে ব্যস্ত থাকতে উস্কিয়ে দেয় শুধু। উৎপাদন করায়, উদ্যোক্ত হওয়ায় ও সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করে না এই সংস্কৃতি।
ফলে শিক্ষাদান অর্থবহ হতে যে চারটি পর্যায় বা ধাপ অতিক্রম করতে হয় তা হয় না। হয়ে উঠে না।
শিক্ষায় পূর্ণতার জন্য প্রথম ধাপে জ্ঞান অর্জনের কথা থাকলেও, এখানে জ্ঞান জানায় বা জেনে নেয়াতে আটকে থাকে। জ্ঞান তৈরির ব্যবস্থা করা হয় না, জ্ঞান তৈরিকে সামনে আনে না। শুধু জ্ঞান জেনে জেনে বিদ্যার গুদামরক্ষক হয়ে উঠে শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় হলো অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করা। এই দ্বিতীয় ধাপেও আমরা সম্পন্ন করতে পারি না। তৈরি করা জ্ঞান না হলে ধার করা জ্ঞান অকার্যকর থেকে যায়। তা প্রয়োগে অক্ষম হয়। আমরা তো জ্ঞান তৈরি করায় অভ্যস্ত করি না। আর তাই জ্ঞান প্রয়োগে শিক্ষার্থী সক্ষম হয় না। হলেই তো সেই জ্ঞান প্রজ্ঞায় পরিণত হয়। প্রয়োগবিহীন জ্ঞান বিদ্যায় পরিণত হয়, যা অপরের কল্যাণে আসে না। সেই বিদ্যা নিয়ে মাকড়সা, পিপীলিকা, মৌমাছি প্রাণীদের মত বৃত্তাবদ্ধ দক্ষতায় পরিণত হয়। গন্ডির বাইরে যেতে পারে না,আবর্তিত হয়ে চলে। ফলে অর্জিত বিদ্যা শুধু ব্যক্তির চাকুরি পাওয়ার কাজে লাগে, সেই বিদ্যা দিয়ে শুধু ব্যক্তির কাজ চলে। ব্যক্তিটি পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজের তখন সম্পদ না হয়ে আপদ হয়ে উঠে। এই ধাপেও শিক্ষায় আমরা আবদ্ধ হয়ে পড়ি। শিক্ষায় তৃতীয়ত হলো আবেগকে মার্জিত করা, পরিশ্রæত করা, কল্যাণমুখী করা। সে আবেগকে আমরা মার্জিত করায় না, করি না। ফলে আমাদের অমার্জিত আবেগ দিয়ে সমাজে ঘটে যাচ্ছে নানা অনাচার ও দুর্ভোগ। তাই দেখা যায় শিক্ষার্থী খেলাধুলোয়, সামাজিক অনুষ্ঠানে ও প্রতিষ্ঠানের সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণে ব্যয়িত সময়কে আমরা অনেক অভিভাবক অপচয় মনে করি। যার জন্য হয়তো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় এ-প্লাস দিয়ে রেজাল্ট সিটকে চকচক করে তোলতে পারে কিন্তু হৃদয়কে প্রশস্ত করতে পারে না, আলোকিত করতে পারে না, অন্ধকারে থেকে যায়। তাই সে মানবিক হয়ে সর্বজনীন সম্পদ হয়ে উঠতে পারে না। শিক্ষা তখন এধাপেও অপূর্ণ থেকে যায়। চতুর্থ ধাপ হলো সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন। দ্রæত পালটে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রতি ৫/৬ মাস অন্তর অন্তর পালটে যাচ্ছে প্রযুক্তি ও প্রায়োগিক জ্ঞান এবং চাহিদা। অথচ সেই দিকে আমাদের মনোযোগ নেই। বিশ্ববাজারে তাই তাদের ঠাঁই হচ্ছে না।
শিক্ষার ধাপগুলো এভাবে যদি আটকে থাকে, পূর্ণতা দিতে না পারে শিক্ষা আর শিক্ষাই থাকে না। এই অসম্পূর্ণ ফলহীন শিক্ষায় কার আগ্রহ থাকবে। ধাপগুলো পূর্ণতা না পেলে আগ্রহ থাকে না, আগ্রহ জন্মাবে না। ফলে অভিভাবকের আগ্রহ ফলহীন শিক্ষায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারে না।
শিক্ষায় আগ্রহী হওয়ার জন্য শিক্ষার ধাপগুলো পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তার জন্য অবশ্য শিক্ষার জননীর জননী সংস্কৃতির কথা এসে যায়। সংস্কৃতির দৌহিতা হলো শিক্ষা। আমরা কী গ্রহণ করব, কী বর্জন করব, কেমন জীবনাচারে কাটাব তার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার তা আমাদের প্রস্তুত করে দেয় সংস্কৃতি। আমাদের সেই সংস্কৃতি তো এখন জ্ঞানবিমুখ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। ফলে বস্তুগত সংস্কৃতি রাস্তাঘাট, ব্রীজ, ভবন ইত্যাদিতে উন্নতি করতে পারলেও তার অন্তরালে সংস্কৃতির সাধারণ মানে ধস নেমেছে, সাংস্কৃতিক জীবনের সংকোচন ঘটেছে। ফলে শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে অভিভাবকরাও সংস্কৃতির নি¤œগামিতায় আগ্রহ ধরে রাখতে পারছে না, সন্তানের শিক্ষার খবরাখবর নেওয়ায় শীতলতা দেখা দিচ্ছে। তাই তাদের অনেকেই নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে না। খোঁজখবর রাখে না। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর অনাগ্রহের কারণে এতে শিক্ষকের সক্রিয়তাও কমে যায়। কেননা শিক্ষাবান্ধব সংস্কৃতির চর্চা শিক্ষার্থীকে সজীব রাখে, শিক্ষাগ্রহণে কৌতূহলী ও সক্ষম করে তোলে। এতে শিক্ষকও সক্রিয় হয়ে উঠে। আগ্রহী হয়ে উঠে ও সামাজিক হয়ে উঠে।
তাই আজ যেই অভিভাবক কাঁধে এক সন্তান নিয়ে কষ্টকে মেনে নিয়ে অপর সন্তানের কৃতিত্বের ছবি তোলতে প্রচন্ড আগ্রহ দেখাল এবং যে সন্তান মাথায় আঘাত পাওয়ার পরও মাথায় রক্তমাখা পট্টি নিয়ে, ব্যথাকে ভুলে হাসিমুখে আগ্রহ নিয়ে ‘পটিয়া কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’ এর নান্দনিক অনুষ্ঠানে আসতে পারে সেই আগ্রহকে ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তার জন্য জ্ঞান জানা বা সঞ্চয়ের চেয়ে জ্ঞান তৈরিতে আগ্রহ থাকতে হবে। সেই জ্ঞানে প্রাজ্ঞ হয়ে উঠতে হবে, এই ধরনের নানা অনুষ্ঠানে ও সহপাঠক্রমিকে অংশগ্রহণ করে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আবেগকে মার্জিত করে তুলতে হবে। তার সাথে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতে দ্রুত অভিযোজিত হতে পারার মত সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষা মানে যে শিক্ষার্থীর শুধু চকচকে ফলাফল হওয়া না, তাদের হৃদয়কে সংস্কারমুক্ত ও উদার করাও। আয়োজকরা জানালো বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বড় পরিসরে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠার প্রেক্ষিতগুলোর উপর আমাদের জোর দিতে হবে। শিক্ষাদানের প্রতিটি ধাপে পূর্ণতা দিতে হবে । তবেই আমাদের প্রজন্মরা আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত হতে পারবে। পরিবার ও সমাজের সম্পদ হয়ে উঠতে পারবে। এতে অভিভাকদের প্রত্যাশা পূরণ হলে তাদের আগ্রহও ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে। এতেই প্রজন্মদের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট, অধ্যক্ষ
খলিলুর রহমান মহিলা (ডিগ্রি) কলেজ