শিক্ষকরা সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য এটি একটি বড়ো জায়গা তৈরি করে। বাবা মায়ের পরে যদি কেউ থাকে সেটা হচ্ছে শিক্ষক। আমরা শিক্ষাটা শুরু করি আপনাদের মাধ্যমে। আমি শিক্ষক হিসেবে সাড়ে ৪ বছর যে সম্মানটুকু পেয়েছি তা অন্য পেশায় পাওয়া যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অন্যরকম একটা সুন্দর সম্পর্ক। আমরা শিক্ষকদের যথাযথ সব সুবিধা দিতে পারছি না। শিক্ষকদের কাছে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমরা চোখের দিকে তাকিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে পারতাম না। আমাদের জেলা প্রশাসন আপনাদের সাথে থাকবে। শিক্ষকদের দাবিগুলো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আমি সার্বিক সহায়তা দেবার প্রত্যয় ঘোষণা করছি।
গণসাক্ষরতা অভিযানের সহায়তায় যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ২৮ অক্টোবর নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট গ্যালারী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) আফরিন ফারজানা পিংকি এসব কথা বলেন।
জেএসইউএস নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও পরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক সাঈদুল আরেফীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবদুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনি রোজারিও, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম উত্তরের সভাপতি মো. ফিরোজ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেএসইউএস প্রোগ্রাম অফিসার খেনি মারমার সঞ্চালনায় ধারণাপত্র পাঠ করেন জেএসইউএস মিল অফিসার আহছান উল্লাহ রায়হান।
বিশেষ অতিথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবদুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের সম্মান জানাতে গিয়ে দিবসের আয়োজন করতে হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে পলিসিগত কারণে অনেক সুফল পেতে দেরি হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, বর্তমানে শিক্ষকরা যে অপমানিত হচ্ছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। শিক্ষকদের দাবিগুলো পূরণে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক ও দক্ষিণ জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ঘাটফরহাদবেগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত উল্লাহ কাজেমী, বলুয়ারদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মল্লিকা বড়ুয়া, স্বপ্নিল ব্রাইট ফাউÐেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ আলী শিকদার, মহব্বত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিংকু ভট্টাচার্য্য, রাইজিং স্টার স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জয়া বল তপু প্রমুখ।
সভাপতির ভাষণে জেএসইউএস নির্বাহী পরিচালক বলেন, মৌলিক অধিকার হিসেবে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সেক্ষেত্রে জাতীয় জীবনের শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে জাতি গঠনে স¤প্রীতির বন্ধনে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি











