শিকলবাহায় মাতোয়াল্লী জনাব আলীর ওয়াকফ সম্পত্তি হামিদ চৌধুরীর কব্জায়

1

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে শিকলবাহা ইউনিয়নে হাজী আছন আলী চৌধুরীর মসজিদের জন্য দান করা ২১৪ কানি ওয়াকফ সম্পত্তির জাল জালিয়াতি দলিল তৈরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হামিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
১৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার মজ্জ্যারটেক আল মদিনা রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন আছন আলী চৌধুরীর নাতি জনাব আলী চৌধুরী।
আছন আলী চৌধুরীর নাতি মতোয়াল্লী জনাব আলী চৌধুরী জানান, বিগত সরকার আমলে আমাদের উপরে যে অন্যায়, অবিচার করা হয় তা এখনো চলমান রয়েছে। আছন আলী চৌধুরী ওয়াকফ ২১৪ কানি ওয়াকফ করে দান করে দলিল করে যান।
তিনি দলিলে উল্লেখ করেন আমি প্রতিষ্ঠাতা মতোয়াল্লী হয়ে এ ওয়াকফের দলিল করি। আমার মৃত্যুর পরে আমার যে পুত্র সব থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ তিনিই পরবর্তীতে মতোয়াল্লী দায়িত্ব পালন করবেন। আমার পরিবারের পুত্ররাই মতোয়াল্লী নিয়োগযোগ্য। পর্যায়ক্রমে একের পর এক বয়োজ্যেষ্ঠগণ মতোয়াল্লী নিযুক্ত হবেন। তিনি দলিলে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, একের অধিক মতোয়াল্লী হতে পারবে না।
সাবেক মতোয়াল্লী আয়ূব আলী চৌধুরী ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করার পরেও আইনগতভাবে জনাব আলী চৌধুরী মতোয়াল্লী। ২০১২ সালে আছন আলী চৌধুরীর দলিল অবমাননা করে হামিদ চৌধুরী যুগ্ম মতোয়াল্লী হয়। আয়ুব আলী চৌধুরী মৃত্যুর পরে যখন আমি মতোয়াল্লী হওয়ার জন্য আবেদন করি, তখন থেকে অবৈধ যুগ্ম মতোয়াল্লীগণ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট এমপি, মন্ত্রীদের সহযোগিতায় তারা আমাকে অনেক নির্যাতন করে এবং আমি ও আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন হামিদ চৌধুরী। পুলিশ এবং র‌্যাব দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে। আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে অন্তবর্তীকালীন সরকার আসার পর আমি যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমাকে এবং আমার পরিবারকে সেই আগের মত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন তারা এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আমাকে আমার ন্যায্য পাওনা ফিরিয়ে দেয় এবং হামিদ চৌধুরী, সেলিম ও হুমায়ুন বিভিন্ন মানুষ দিয়ে মিথ্যা মামলা করে তা থেকে যেন আমরা মুক্তি পাই।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও অভিযোগ করেন, মসজিদের মতোয়াল্লী হওয়ার পূর্বে সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না হামিদ চৌধুরীর। জাল জালিয়াতি করে অল্প দিনেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান তিনি। এখন চলাফেরা করেন পাজেরো গাড়িতে। মসজিদের জন্য প্রতি মাসে লক্ষ টাকা উঠানো হয় ভাড়া বাবদ। কিন্তু এই হিসেব কাউকে না দিয়ে সব টাকা নিজের পকেটে নেওয়ারও অভিযোগ তুলেন হামিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
হাজী আছন আলী মসজিদের যুগ্ম মতোয়াল্লী হামিদ চৌধুরী দৈনিক পূর্বদেশকে বলেন, আছন আলী চৌধুরী আমার দাদা। আলী আছন আলী চৌধুরীর কিছু হয় না। তার বাবার পালক ছেলে। তারা কোন সম্পদ পাবে না। তাদের সাথে আমাদের কোন রক্তের সম্পর্ক নেই। তারা সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে যা বলেছে সব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।