পূর্বদেশ ডেস্ক
আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশকে সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত সোমবার মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভায় অংশ নেন। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খবর বিডিনিউজের।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে বেশকিছু বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আগামী নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো অল্প সংস্কারের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে স¤প্রতি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আর সংস্কার কার্যক্রম প্রসারিত হলে নির্বাচন আরও ছয় মাস পরে হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি।
তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিরবাচন কমিশন। পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে যেসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- ১. ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা। ২. পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ এবং ১৪০টি প্রিজন ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া। ৩. পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০% এর নিচে সম্পাদিত হয়ে আছে সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা। ৪. ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা। ৫. পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের সদস্যদের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কর্ম সম্পাদনের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিভুক্ত করে যাদের পারফমেন্স অপেক্ষাকৃত কম, তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।