নগরীর বায়েজিদ থানাধীন কেন্দ্রীয় শান্তিকুঞ্জ বৌদ্ধ বিহারে ষোড়শ কঠিন চীবর দানোৎসব গত ২ নভেম্বর উদযাপিত হয়। জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকালে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিহারের উপাধ্যক্ষ মেত্তাবিহারী ভিক্ষু, সভাপতিত্ব করেন রাউজান কদলপুরস্থ বাংলাদেশ ভিক্ষু প্রশিক্ষণ ও সাধনা কেন্দ্রের পরিচালক শাসন রক্ষিত মহাথের, প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন বাংলাদেশ ভিক্ষু প্রশিক্ষণ ও সাধনা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞাশ্রী মহাস্থবির। উদ্বোধনী সংগীত শান্তিকুঞ্জ ফ্রাইডে ধাম্মা স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ। বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিস্কারদান ও সদ্ধর্মদেশনা অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন বিহার পরিচালনা কমিটির ধর্মীয় সম্পাদক উত্তম বড়–য়া। দুপুর ২ টায় কঠিন চীবর দানোৎসব ও ধর্মসভা। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথের, উদ্বোধক ছিলেন শান্তিকুঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বিপুলবংশ মহাস্থবির, উদ্বোধনী সংগীত পরিবশেন ইন্দিরা চৌধুরী ও তার দলের সদস্যরা, প্রধান সদ্ধর্মদেশক প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাথের, আশীর্বাদক জলদী ধর্মরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মপাল মহাস্থবির, প্রধান জ্ঞাতি বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি রাহুল প্রিয় মহাস্থবির, বিশেষ সদ্ধর্মদেশক শ্রদ্ধানন্দ স্থবির ও শান্তবোধি স্থবির। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (অব.) কমলেশ বড়ুয়া, বিশেষ অতিথি অধ্যাপক শিশির কুমার বড়ুয়া, বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বেলায়েত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, বায়েজিদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ। স্বগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তুষার বড়ুয়া। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শীলানন্দ বড়ুয়া। উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল কান্তি চৌধুরীর বক্তব্যের পর তীর্থসাধক জাপান বড়ুয়া পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিহার পরিচালনা কমিটির কার্যকরী সভাপতি প্রফেসর সুদত্ত বড়ুয়া মুৎসুদ্দী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অলক বড়ুয়া ও পিয়াল বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে স্মরণিকা ‘শান্তিকুঞ্জ’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি