চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ হওয়া মহানগর ছাত্রদল নেতা মীর সাদেক অভির খুনিদের বিচার হবেই। এ জন্য যা করার দরকার তা দলীয়ভাবে এবং আমার তরফ থেকে করা হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সালের এই দিনে আগ্রাবাদ এলাকায় যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিল, অভি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। সেই অপরাধে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পর আমরা ভেবেছিলাম সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাসায় ফিরে যাওয়ার পর রিইনফেকশন হয়ে সে আমাদের ছেড়ে চলে যায়। অথচ তার খুনি সন্ত্রাসীরা এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে নিহত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা মীর ছাদেক অভির ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত খতমে কুরআন ও দোয়া মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মীর অভি স্মৃতি সংসদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র ছিল অভি। মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার কারণেই সে এলাকাবাসীর কাছে অত্যাধিক প্রিয় ছিলো। সামাজিক কর্মকান্ডে অভির সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মাদকবিরোধী নানামুখী ভ‚মিকার কারণে সে সর্বমহলে সমাদৃত ছিল। অভির হত্যাকান্ডে আমাদের হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অভির মৃত্যুর ৫ বছর পার হয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।তাই অবিলম্বে অভির খুনিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মেয়র বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর পর আগ্রাবাদ বক্স কালভার্ট সংস্কারে আমরা হাত দিয়েছি। নৌবাহিনীর মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। একইসঙ্গে নাসির খাল ও লাল মিয়া খাল সংস্কারের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে। এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
নগরবাসীর প্রতি সতর্কতা জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা এখন তিনটি বড় সংকট মোকাবিলা করছি, কোভিডের ওমিক্রন এক্সপেরিয়েন্স, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া। এক মিলিলিটার স্বচ্ছ পানিতেও এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। তাই প্লাস্টিক ও পলিথিন কোনোভাবেই জমতে দেওয়া যাবে না। এই শহরটা আমাদের সবার। সবাই মিলে এই শহরকে ভালোবাসতে হবে, রক্ষা করতে হবে।
দোয়া মাহ্ফিলে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক নিয়াজ মো. খান, আহব্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, ইদ্রিস আলী, উত্তর পাটানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক হাজী মো. মহসিন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন সোহেল, এমএ হালিম, মহানগর তাঁতীদলের সাবেক আহব্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিয়া হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, আবদুল আহাদ রিপন, অঙ্গ সংগঠনের মো. আলাউদ্দীন, বজল আহমেদ, এন মো. রিমন, আনোয়ার হোসেন, বশিরুল ইসলাম পলাশ, সামিয়াত আমিন জিসানসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি
