চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে গতকাল রবিবার চবি কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে চবি শিক্ষার্থীদের লাল ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে চবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ সকলকে রক্তিম শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। উপাচার্য বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য অন্যরকম একটি দিন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাওয়া এই নতুন বাংলাদেশে আজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বস্তির সাথে মুক্ত পরিবেশে ক্যাম্পাসে পদচারণার সুযোগ পেয়েছেন। অভিভাবকরা নির্ভয়ে-নির্বিগ্নে তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের চবিতে পাঠিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘চবির সবকিছু বিশৃঙ্খলা ও বিধ্বস্ত অবস্থায় বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর খুব অল্পসময়ে বেশকিছু তড়িৎ কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর সশরীরে ক্লাস চালু করা সম্ভব হয়েছে’।
কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, চবি বিভিন্ন পর্ষদে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, চবি প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি