শরিয়াভিত্তিক দুর্বল ব্যাংক একীভূৎ করা হবে : গভর্নর

4

দুদর্শাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া গতবছর শুরু হলেও ক্ষমতার পালাবদলের পর তা থমকে যায়; সেই প্রক্রিয়ায় ফেরার বিষয়টি স্পষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক যেসব দুর্বল ব্যাংক রয়েছে সেগুলো একীভূত করা হবে।
গতকাল বুধবার দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে রিশেইপড করা হয়েছে। দেশের একটি বড় ইসলামী ব্যাংক আছে, সঙ্গে ছোট ছোট আরো কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, যাদের অনেকে ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। সমস্যাজর্জরিত ব্যাংকগুলোকে মার্জার করা হবে। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এ আয়োজিত সম্মেলনে গর্ভনর বলেন, ইসলামী ব্যাংক নিয়ে আমাদের প্রোপার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। আন্তর্জাতিক মডেলে যেভাবে ইসলামী ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে সেই বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
ঋণ কেলেঙ্কারি, তারল্য সংকটে নাজুক দশায় পড়া আর্থিক খাতকে সঠিক পথে ফেরাতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বা মার্জারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রথমে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
কথা ছিল, ব্যাংকের ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন দেখে পিসিএ বাস্তবায়ন করা হবে। সে হিসাবে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দুর্বল ব্যাংকের তালিকা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
গত বছর মার্চে হুট করে শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে দুর্দশায় পড়া পদ্মা (সাবেক ফারর্মাস) ব্যাংক একীভূত হওয়ার ঘোষণা আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় একীভূত হতে দুটি ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হয়। মার্জার প্রক্রিয়া কোন পথে হবে, তা নিয়ে আলোচনা উঠলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক চাইলে নিজেরা একীভূত হতে পারবে। নইলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত করে দেবে।
কিন্তু অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরই দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংক প্রয়োজনে একীভূত করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এবার তিনি স্পষ্ট করে শরিয়াভিত্তিক দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার কথা বললেন।