লোহাগাড়া প্রতিনিধি
লোহাগাড়া থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল বিক্রির মূলহোতা মো. বাবুল প্রকাশ ডাকাত বাবুলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ডেপুটি বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাবুল একই ইউনিয়নের বনপুকুর নলবনিয়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় মাইকে ‘ডাকাত এসেছে’ ঘোষণা দিয়ে নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক নামে দুই জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। ঘটনার সময় নিহত নেজামের মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। পিস্তলটি গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য রিয়াদ ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে বলে অভিযোগ উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মার্চ দিনগত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা থেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন ও ইসহাককে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি দল। পরদিন তাদের দেয়া তথ্য মতে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার কাঠগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে আবদুল গণি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় গত ৫ আগস্ট লোহাগাড়া থানা থেকে লুট হওয়া একটি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি।
পরে বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী আবু বক্কর ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ গুরুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা কনস্টেবল রিয়াদকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, রিমান্ডে পাওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাবুল প্রকাশ ডাকাত বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল থানা থেকে অস্ত্র ও নগদ টাকা লুট এবং অস্ত্র বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দ্রুতবিচার, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক মামলাসহ ১০টির অধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।