লোহাগাড়া প্রতিনিধি
লোহাগাড়ায় গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাতিয়ার খাল, হাঙ্গর খাল ও ডলু নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে, এতে অনেক ঘর বাড়ি বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে, নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকার হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতিয়ার খাল, হাঙ্গর খাল ও ডলু নদীর পানি বেড়ে গেছে। হাতিয়ার খালের রুস্তমের পাড়া সড়কের মনজুরের দোকানের উত্তর পাশে হিন্দু পাড়া ও সিকদার পাড়ায় বাঁধে কয়েকটি ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে রুস্তমের পাড়া সড়কের অংশ ভেঙে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নের সর্দানী পাড়ায় ডলু নদীর তীব্র স্রোতের কারণে পানি প্রবেশ করেছে। এভাবে বৃষ্টি বেড়ে গেলে এ গ্রামে অনেক বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে আমিরাবাদ ইউনিয়নের টংকাবতী খালের পানি উপচে বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে। সেসব এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। বিশেষ করে আমিরাবাদ টংকাবতী খালের তীব্র স্রোতে রাজঘাটা সেতুর পশ্চিম পাশে ৪নং ওয়ার্ডে ও পূর্বপাশে ৫ নম্বর এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন এলাকায় ঘরবাড়ি-দোকানপাট বিলীন হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। পদুয়া হাঙ্গর খালের তীব্র স্রোতের কারণে পদুয়া ৭নং ওয়ার্ডের ফরিয়াদেরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ বেড়ীবাঁধ ভেঙে গেছে। পদুয়ার মুন্সির পাড়া, সিকদার পাড়া, দরগা মূড়া, নিজতালুক, ধলিবিলা চাঁদার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার বসবাসকারী আতংকে দিন-রাত পার করছেন।
রুস্তমের পাড়া এলাকার বাসিন্দারা বলেন, হাতিয়ার খালের তীব্র স্রোতের কারণে আমাদের একমাত্র চলাচল সড়কটি ভেঙে গেছে। আমরা এখন চলাচল করতে পারছি না। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে এলাকার অনেক বাড়িঘর তলিয়ে যাবে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে হাতিয়ার খালে তিনটি পয়েন্টে ও ডলু নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকার বসতঘরগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। এলাকার ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ জাকির আহমেদ নাহিদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।