লেবুবাগান পাহারা দিতে গিয়ে গুলিতে একজনের মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়ায় লেবু বাগান পাহাড়া দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হয়েছেন এক উপজাতি। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সরফভাটার সীমান্তবর্তী বোয়ালখালীর দুইজ্জাখালের লেমু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আওয়াইমং মারমা (৩৩)। তিনি উপজেলার সরফভাটা বড়খোলাপাড়া এলাকার অংসিপ্রু মারমার ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার মংসাযাই মারমার ছেলে মংরে মার্মা (৩৫), চাইপিউ মারমার ছেলে হ্লাসাথুই মারমা (২৫) এবং সাউচিং মারমার ছেলে উসাইমং মারমা (১৭)। এদের মধ্যে বুকে গুলি লাগা আওয়াইমং মারমার অবস্থা আশংকাজনক। বাকী দুজনের একজনের পেটে ও অন্যজনের হাতে গুলি লাগে। তারা তিনজনই বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় মাস্টার অনন্ত চৌধুরী জানান, নিহত ও আহতরা পেশায় লেবু চাষী। প্রতিদিন লেবু বাগান পরিচর্যা, লেবু তোলা ও বিক্রি করে সংসার চালায়। সস্প্রতি লেবু চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই প্রায় রাতে তারা বাগান পাহাড়া দিতে সেখানে রাত্রিযাপন করেন। বুধবার রাতেও তারা চারজন লেবু বাগান পাহাড়া দিতে গেলে ভোরে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও তিনজন।
জানা যায়, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এক লেবু ব্যবসায়ীর হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেছিলো সন্ত্রাসীরা। এছাড়া রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে পৃথক স্থানে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ মীরেরখীল বাজারে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে নুরুল ইসলাম তালুকদার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রæপ প্রকাশ্যে গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালালেও তাদের দমনে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। উল্টো মীরেরখীল এলাকায় থাকা একটি পুলিশ বিট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে এলাকা ছেড়ে একাধিক পরিবার অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
খুনের ঘটনা জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন বলেন, ‘স্থানীয় সুত্রে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’