লুকা মদ্রিচ ও এমবাপের অর্জনের সেরা বছর

46

টানা দশ বছর ধরেই ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব ধরে রেখেছিলেন অন্যতম শীর্ষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি। তবে ২০১৮ সালে এসে দুই তারকার এক দশকের সেই রাজত্বে হানা দেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ। তার সঙ্গে বছরটা ভালো কাটিয়েছেন ফ্রান্স ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেও। চলতি বছরের মে মাসে লিভারপুলের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নেমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতেন মদ্রিচ। তাতেই রিয়ালের জার্সিতে ২০১৭-১৮ মৌসুমে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও আসে তার হাতেই। শুধু ক্লাবের জার্সিতেই নয়, জাতীয় দলের হয়েও বছরটা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন ক্রোয়াট এই তারকা। রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে অনেকটা চমক দিয়েই তুলে নিয়েছেন আসরের ফাইনালে।
তবে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপার আশা দেখেও খুব কাছে গিয়ে শিরোপাটা হাতছাড়া হয়েছে তার। শিরোপা না জিতলেও বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ আসে তার হাতে। বিশ্বকাপের পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াও এবার দারুণ কীর্তি গড়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চতুর্থবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেন মদ্রিচ। তবে পুরো বছরে মদ্রিচের অন্যতম সেরা সাফল্য বলা যায় রোনালদো-মেসিদের বৃত্ত ভেঙে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়টাই। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে ক্রোয়েশিয়ার সেরা ফুটবলার হিসেবে ২০১৮ সালে দেশটির ‘ফুটবল অস্কার’ ছাড়াও দেশটির বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে দেয়া হয় এইচএনএস ট্রফি।
অন্যদিকে, মদ্রিচের মতো না হলেও বছরটা বেশ ভালভাবেই রাঙিয়ে নিয়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। জাতীয় দলের হয়ে এবার ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
শুধু জাতীয় দলের জার্সিতেই নয়, ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়েও দারুণ বছর পার করেছেন ২০ বছর বয়সি এমবাপে। দুর্দান্ত খেলে এবারের ব্যালন ডি’অর তালিকাতেও নিজের নামটা যোগ করেন এমবাপে। তবে এ তালিকায় লুকা মদ্রিচ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর ফ্রান্স তারকা আঁতোয়া গ্রিজমানদের টপকে যেতে পারেননি ফরাসি নাম্বার টেন। তালিকার চারে থাকতে হয়েছে তাকে।