পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আমদানি করা পণ্য ‘লাল তালিকামুক্ত’ করে নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না। গতকাল এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুমের স্বাক্ষর করা আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ ‘রেড লেনে’ ছিল।
এনবিআর বলছে, ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পাকিস্তানি পণ্য ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়ায় শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার বাইরে থাকবে। তবে লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় পণ্যভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা চালু রাখতে বলা হয়েছে কাস্টমস হাউজগুলোকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে আসা সব পণ্য লাল তালিকাভুক্ত করেছিল এনবিআর। ক্ষমতার পালাবদলের পর ফের দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার আহবান জানান। দেশটির অনুরোধে এবার পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।