ফের বান্দরবানের লামা উপজেলায় বেশ কয়েকটি বসতঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে একটি সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী দল। সোমবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের বৈল্লারচর, ঠাকুরঝিরি ও বরিশাল পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দেরকে মারধরসহ বসতঘরে লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর এলাকার লোকজনের মাঝে ভয়-ভীতি ও আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় একটি সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩০-৩৫ জনের সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী সোমবার রাত ২টার দিকে প্রথমে সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর গ্রামের রবিউল আলম ভূঁইয়ার বাড়িতে রাত ১টার দিকে হামলা করে। পরে ঘরের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে অন্যদিকে চলে যায়। এরপর পাশের বরিশাল পাড়ার সাবেক মেম্বার আব্দুৃল ছোবাহানের বসতঘরে ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করে ও লুটপাট চালায়। যাওয়ার সময় ওই ঘরের সমির উদ্দিন (৫৫) নামের একজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। সবশেষে রাত ২টার সময় ঠাকুরঝিরি গ্রামের মেহের আলীকে মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও পরক্ষণে তাকেও ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় ৩০-৩৫ জনের সন্ত্রাসী দলটির সব সদস্যের গায়ে জলপাই রংয়ের পোষাক ও হাতে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। মাস দু’য়েক আগেও এই সন্ত্রাসী দলটি হামলা চালিয়েছে। মূলত চাঁদা আদায়ের জন্যেই এই হামলা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। স্থানীয় রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, মেহের আলীসহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। সন্ত্রাসীরা একইভাবে আবারো হামলা করতে পারে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় একটি সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবী জানাচ্ছি। গভীর রাতে বসতঘরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, কয়েকদিন পর পর সন্ত্রাসীদের এই ধরনের হামলার কারণে স্থানীয়রা যথেষ্ট আতংকের মধ্যে রয়েছে। হামলা থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেন তিনি। এদিকে হামলার ঘটনাটি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।-