লামা প্রতিনিধি
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ২৮৫নং সাংগু মৌজার ম্রো সম্প্রদায়ের জুম ভূমি উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন মৌজা হেডম্যান মংক্যনু নেতৃত্বে ধর্মকে ঢাল করে মারাইতং পাহাড়ে বে-আইনিভাবে দখলের পাঁয়তারা সহ লামা উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ধর্মের নামে ম্রোদের ভূমি দখল বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘মংক্যনু মার্মা হেডম্যান হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ও মারাইতং পাহাড় নিয়ে মিথ্যাচার কেন ?’ উঃ উইচারা ভিক্ষু গং রিসোর্ট করলে ধর্মের অবমাননা হয়না কেন?’ ‘মারাইতং ধর্মজাদী পরিচালনা কমিটি সীমানা নির্ধারণে এত ভয় কিসের ?’ -এমন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়সহ শত শত বাঙালি নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে ২৮৫নং সাংগু মৌজাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- লামা উপজেলার সাংগু মৌজা হেডম্যান চ্যংপাত ম্রো, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তনয়া ম্রো ও সদস্য কাইনপ্রে ম্রো, স্থানীয় মুক্তারাম ত্রিপুরা কারবারী, ফলে ম্রো, পাক ম্রো ও সাকতাই ম্রো প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার কর্তৃক ১৯৯২ সালে তৈন মৌজায় ৫ একর ও সাংগু মৌজায় ৫ একরসহ মোট ১০ একর জমি মারাইতং পাহাড়ের জাদী নির্মাণের জন্য বন্দোবস্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে ওই ভূমিতে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করে ভোগ করে আসছেন কর্তৃপক্ষ। আমরাও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী, আমরাও বৌদ্ধ মন্দিরের বিরোধী না, ভান্তের বিরুদ্ধেও না। কিন্তু এখানে ধর্মের নামে, ধর্মকে পুঁঁজি করে ম্রো জনসাধারণের ভূমি নিয়ে যারা ছিনিমিন খেলছেন, তাদের বিরোধী আমরা। বক্তারা আরও বলেন, উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন মৌজা হেডম্যান মংক্যনু মার্মাসহ একটি চক্র ধর্মকে ব্যবহার করে ম্রো জনগোষ্ঠির জুম ভূমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে রিসোর্ট নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন। এ নিয়ে সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর লামা ও আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সার্ভেয়ার ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় দুই উপজেলা প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের যৌথ সিদ্ধান্তে দুই উপজেলার সীমানা বিরোধ চিহ্নিত ও বৌদ্ধ মন্দিরের ১০ একর ভূমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিতে ২৮ অক্টোবর বিরোধীয় ভূমি পরিমাপ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় উপস্থিত তৈন মৌজা হেডম্যানও এতে সম্মতি প্রদান করেন। কিন্তু উঃ উইচারা ভান্তে ও মংক্যনু মার্মা চক্রটি পরিকল্পিতভাবে সাংগু মৌজার ম্রোদের ভূমি জবর দখল অব্যাহত রাখতে পরিমাপের দিন কিছু লোক জড়ো করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিমাপের কাজ বানচাল করেন। লামা উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে এহেন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
এর পাাশাপাশি পরিমাপ করে আলীকদমের ভূমি আলীকদমকে, আর লামা উপজেলার সাংগু মৌজার নিরীহ ম্রো জুম চাষিদের ভূূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা।











