লামায় এগ্রো প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাট

1

লামা প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামায় সরই ইউনিয়নের ফেয়ারি এগ্রো কমপ্লেক্সের গরু, ছাগল, মাছ ও বাগানের গাছসহ ১০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। অবশিষ্ট বনজ ও ফলজ বাগান, গরু-ছাগলসহ আরও ১০ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট অব্যাহত আছে।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা শহরের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লামা ফেয়ারি এগ্রো কমপ্লেক্সের এস্টেট অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা। এ সময় কমপ্লেক্সের বাগান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ লুটপাট বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বহু অর্থ ব্যয়ে ও কায়িক পরিশ্রমে ধীরে ধীরে ফেয়ারি এগ্রো কমপ্লেক্স বাগান সৃজন, মৎস্য চাষসহ এগ্রো বেইজে এলাকার শতাধিক বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়নকাজ পরিচালনা করে আসছিল। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর একটি সুযোগ সন্ধানী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এতে লুটপাট-তান্ডব চালায়। চিহ্নিত এ লুটপাটকারীরা খামারের প্রায় ২০০ উন্নত জাতের গরু, পুকুরের মাছ, কয়েক’শ ছাগল ও হাঁস-মুরগি লুট করে নিয়ে গেছে। এমনকি খামার ঘরের দরজা জানালা ও মালামাল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। শুধু তায় নয়, লুটপাটকারীরা ইতিমধ্যে কমপ্লেক্সের ২০০ একর জায়গার উপর সৃজিত মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়ে গেছে। বর্তমানেও স্থানীয়-বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে সড়কপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এসব ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হলে শেখ আহাম্মদ গুন্নু নামক একজন লুটপাটকারীর (গাড়ি নং- ঢাকা ল-২১৮) গাড়ি জব্দ করেন লামা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। লুটপাটকারীরা এখন কমপ্লেক্সে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে বাগান ছেড়ে চলে যেতে বলছে। তারা না যাওয়ায় হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এতে বাগানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান এস্টেট অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা।
এদিকে সম্পদ লুটপাট ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় ফেয়ারি এগ্রো কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন।
তিনি বলেন, কর্মচারীদের নিরাপত্তায় পুলিশি টহল জোরদারসহ তদন্ত করে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।