লামায় অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ৯ সন্ত্রাসী আটক

1

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামায় চাঁদাবাজি ও অপহরণের সাথে জড়িত থাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে অস্ত্র সরঞ্জামসহ আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে ৫টি দেশিয় অস্ত্র, ২টি ধারালো ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহীর সাড়াশি অভিযানে আটককৃতরা পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস এর সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। লামা উপজেলার টংকাবতীর পুনর্বাসন চাকমা পাড়া এবং ইম্মানুয়েল ত্রিপুরা পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, লামার টংকাবতীর পুনর্বাসন চাকমা পাড়া এবং ইম্মানুয়েল ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এর সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম সেনাজোনের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জেএসএস এর ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশিয় গাদা বন্দুক, ২টি ব্যারেল, ৩টি ছুরি, ১টি ইউনিফর্মের নিচের অংশ, ২ জোড়া বুট, ১টি ট্যাব, ২টি মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রিক তার জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তি রঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) এবং জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের একটি বিশেষ দল অভিযানে প্রথম পর্যায়ে ১৫ জনকে আটক করে। পরে চাঁদাবাজি ও অপহরণে অভিযুক্ত ৯ জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটককৃতরা আঞ্চলিক একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বর্তমানে ওই এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে আলীকদম সেনাজোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, লামার টংকাবতী এলাকার পুনর্বাসন চাকমা পাড়া এবং ইম্মানুয়েল ত্রিপুরা পাড়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ জেএসএস এর ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সকল প্রকার চাঁদা প্রদান হতে বিরত থাকার এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠী চাঁদা চাওয়ার সাথে সাথে আলীকদম সেনাজোনকে অবহিত করার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন। আলীকদম সেনাজোনের আওতাধীন লামা ও আলীকদম এলাকায় কোন প্রকার চাঁদাবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।