পেকুয়া প্রতিনিধি
লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দেশের লবণ খ্যাত আজ হুমকির মুখে, লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না করলে এবং লবণকে ক…ষিপণ্য হিসাবে সুরক্ষা না দিলে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
লবণ চাষি ও লবণ খ্যাতকে রক্ষায় এখনই সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে অন্যথায় চাষিদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গতকাল রবিবার কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ চাষিদের জনসমাবেশে ধরার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল একথা বলেন।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও লবণ মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির আয়োজনে উজানটিয়া সোনালী বাজার মসজিদ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ করে চাষিদের ১৫ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান। লবণ মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির আহব্বায়ক মাস্টার আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব দেলওয়ার হোসাইন ও সাংবাদিক সোহেল আজিমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত লবণ চাষি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধরা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুজ্জামান মঞ্জু, ধরা কক্সবাজার জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক সাংবাদিক ফরিদুল আলম শাহিন, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজিব হক চৌধুরী, উজানটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, লবণ মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক এম আজম উদ্দিন,সাংবাদিক আব্দুস ছালাম কাকলি, মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকের হোসেন, প্রান্তিক লবণ চাষি আদুল হালিম, কায়েস চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, জাফর আলম, নুরুল কাদের, রাশেদুল ইসলাম, সংবাদ কর্মী হুমায়ন কবির, ছাত্র প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, লবণকে কৃষি পণ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে চাষিদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান, কৃষিতে যে সকল সুবিধা সরকার প্রদান করে তার আওতায় লবণ চাষিদের নিয়ে এসে এ খ্যাতকে টিকিয়ে রাখতে হবে। না হয় লবণ উৎপাদন থেকে চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিলে বাংলাদেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাস্টার আবুল হাসেম বলেন, লবণ চাষিদের অধিকার আদায়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন করা হয়েছে, আমরা এ সংগঠনের মাধ্যমে লবণ চাষিদের ১৫ দফা দাবি মেনে নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আহŸান জানাচ্ছি। লবণ চাষিদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না হলে লবণ উৎপাদন বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, লবণ চাষি ও লবণ শিল্পকে সিন্ডিকেট নামক দানব গ্রাস করে নিয়েছে। এ অঞ্চলের যে সব ওয়াকফ এস্টেটের জমি রয়েছে প্রশাসন ও গুটিকয়েক লোককে এককভাবে ইজারা দিয়ে চাষিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের খাজনা আদায় করছে। তিনি বলেন, লবণ চাষিদের যৌক্তিক ১৫ দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।
এসময় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, মগনামা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম,উজানটিয়া ইউনিয়নের লবণ চাষি নেতা নেজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পেকুয়া উপজেলা প্রান্তিক লবণ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।