লোহাগাড়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এখন যেন এক আতংকের নাম। গাড়ি চলাচলও চরম মুশকিল হয়ে পড়েছে। দিনের বেলা সড়কটি ঠিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে দেখা মিলে লবণ বোঝাই ট্রাকের। যেন এক আতংক। প্রতিদিন রাতে খোলা ট্রাকে করে লবণ পরিবহনের কারণে গলে পড়া (নিঃসৃত) পানিতে মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে উঠছে মহাসড়ক। লবণের পানি পিচ্ছিল হয়ে সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ আকার ধারণ করছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নেই কোনো উদ্যোগ। কোনো সুরক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন ট্রাকে করে এসব লবণ পরিবহনের কারণে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা হতে ঠাকুরদিঘী পর্যন্ত সড়কে লবণের গাড়িগুলোর কারণে চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয়, পথচারি, পর্যটক ও অন্যান্যরা।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে কক্সবাজার থেকে বড় বড় ট্রাকে করে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যার ফলে লোহাগাড়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুনতি-জাঙ্গালিয়াসহ বিভিন্ন স্পটে দুর্ঘটনা যেন লেগেই আছে।
মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, প্রতিদিন লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি পড়ে মহাসড়ক পিচ্ছিল হওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত আতংকে থাকি। গাড়ি ¯িøফ করে বেশি। অনেক কস্টে বাইক চালাতে হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখার সভাপতি সাংবাদিক মোহাজিদ হোসাইন সাগর জানান, লবণবাহী ট্রাক থেকে নি:সৃত পানি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকবাহী গাড়ি কক্সবাজার যায়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষভাবে কোনো ধরণের ভ‚মিকা দেখা যাচ্ছে না। তাই লবণবাহী ট্রাক থেকে যাতে পানি নি:সৃত না হয় এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লবণ বোঝাই ট্রাকের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। লবণের গাড়ি দেখলেই আমরা মামলা দিয়ে সতর্ক করছি। ইতোমধ্যে লবণ বোঝাই কিছু ট্রাকে মামলা দেয়া হয়েছে। আগামিতেও অব্যাহত থাকবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, মহাসড়কে লবণ বোঝাই ট্রাকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। খোলা ট্রাকে করে পরিবহনের সময় লবণের পানি নি:সৃত হয়ে মহাসড়কের বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের প্রলেপ উঠে যাচ্ছে। সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
