পূর্বদেশ ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবওহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে সাগর অস্থির থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। খবর বিডি ও বাংলানিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবওহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থান করছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া আবওহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে বলে তুলে ধরে আবওহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলার পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবওহাওয়া অধিদপ্তর
এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব চার জেলায় পাহাড় ধস হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের উপকূলের কাছে বিরাজমান সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আগামীকাল বিকেলে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশংকা রয়েছে।











