রাঙামাটি ও লংগদু প্রতিনিধি
রাঙামাটি জেলার লংগদু- নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে হাজারো জনতার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য সৌভাগ্য হয়নি লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীর।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর নানিয়ারচর উপজেলার কিছু অংশে সড়ক উন্নয়ন হলেও লংগদু উপজেলার সাথে সংযোগ সড়কটির উন্নয়ন কাজ বার বার বাধার মুখে পড়ে কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। অথচ নানিয়ারচর সাথে রাস্তাটি নির্মিত হলে খুব সহজে লংগদু হয়ে বাঘাইছড়ি সাজেক যাওয়া যাবে কম সময়ে ও কম খরচে।রাস্তাটির কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে কাজ থমকে যায়। লংগদু-বাঘাইছড়িবাসী তাদের যাতায়াত সহজ করতে সংযোগ সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মাত্র ২৪ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করতে লংগদুতে মানববন্ধনে জড়ো হন।
লংগদু প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এস মামুনের সভাপতিত্বে ও সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের (সাবেক) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নাছির উদ্দীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নানিয়ারচর-লংগদু ও বাঘাইছড়ি এই তিন উপজেলার স্বপ্নের সড়ক নানিয়ারচর- লংগদু ২৪ কিলোমিটারের কাজটি থমকে আছে। সড়ক নির্মাণের কাজটি দ্রুত এগিয়ে নিতে আমরা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সড়ক নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।
বক্তারা আরো বলেন, লংগদু- নানিয়ারচর ২৪ কিলোমিটার সড়কটি ইতি মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশীদসহ সেনাবাহিনীর উধ্বর্তন কতৃপক্ষ সরেজমিনে ঘুওে গেছেন। সড়ক নির্মাণের সকল প্রক্রিয়া শেষ। এখন কার্যক্রম চালু করাই সময়ের দাবি। একটি মহল সড়ক নির্মাণের বিরুদ্ধে গিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে। সড়কটি নির্মাণ হলে নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়িতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠবে এই তিন উপজেলা।