রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা সতর্কতায় এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশনা মানছেন না। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার সকালেও গাড়ির বহর নিয়ে এনজিও কর্মকর্তারা আগের মতোই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে দেখা গেছে। অথচ গত মঙ্গলবার গণভবন থেকে সকাল ১০ টায় একযোগে দেশের ৬৪ জেলার প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আপাতত বাইরের লোক বাদ দিয়ে আমাদের লোকেরাই কাজ করবে।রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়েই আমরা চিন্তিত। কারণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যদি কোনো কিছু হয়ে যায়, তাহলে খুবই ক্ষতি হবে। এ জন্য বাইরের কোনো লোকের দরকার নেই। আমাদের যারা আছে, তারাই সার্ভিস দেবে। কিন্তু তা মানছেন না এনজিও, আইএনজি, ইউএন সংস্থাগুলো। ওখানে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্থা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সশস্ত্রবাহিনী, সেনাবাহিনী সকলেই তো আছে। তারা তো কাজ করছে। আমরা নিজেদের লোক দিয়েই সব করাব। বাইরের লোক যেন এই সময়ের মধ্যে কেউ না যায়, সেটা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহাবুবুল আলম তালুকদার (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব) বলেন, আগে থেকে যে সমস্ত লোকজন ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নতুন করে কেউ যেন ক্যাম্পে যেতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সেবা ছাড়া সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।