মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য শীতবস্ত্র ও সড়কবাতি দিল ভারত সরকার। গতকাল সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালীর ১২ নম্বর ক্যাম্পে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. আবুল কালাম। প্রথম দিনে প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গার মাঝে শীতবস্ত্র দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশন চট্টগ্রামের দ্বিতীয় সচিব সুভাশিষ সিনহাসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ভারত সরকারের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার কম্বল, দুই লাখ সোয়েটার ও পাঁচশ সৌর সড়কবাতি। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া উখিয়া-টেকনাফসহ কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কম্বল ও সোয়েটার বিতরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এর আগে ভারত সরকারের দেওয়া ১ মিলিয়ন লিটার সুপার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ বিতরণ করা হয়। রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশের বনভূমি উজাড় করছিল, তখন ভারত সরকার তাদের জ্বালানি হিসেবে এ কেরোসিন ও স্টোভ বিতরণ করে। ফলে বন উজাড় অনেকাংশে কমে আসে। এদিকে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভারতের পক্ষে চতুর্থ পর্যায়ের এই ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই সহায়তা বাংলাদেশের প্রতি ভারতের চলমান অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার অংশ, বিশেষ করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক বাস্তুহারা মানুষের ঢলে বাংলাদেশের ওপর যে বোঝা আরোপিত হয়েছে, সেটি ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে। গতকাল থেকে বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কর্তৃক কক্সবাজারে ক্যাম্পসমূহে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।