রেল বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৩৫ নতুন কোচ

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৩৫টি নতুন কোচ। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ১৫টি কোচের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হবে আজ। বাকি ২০টি কোচ আগামি আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই দেশে আসবে। ২০১৭ সালে নেয়া ‘২০টি লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় এই কোচগুলো আমদানি করা হয়েছে। তবে রেলওয়ে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর কোচগুলো কোন ট্রেনে যুক্ত হবে তা জানা যাবে।
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) ও প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দীন পূর্বদেশকে বলেন, ‘রেলওয়ের ইঞ্জিন ও কোচ সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ২০টি লোকোমোটিভ ও ১৮২টি মিটারগেজ কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। এর আওতায় ইতোমধ্যে সবগুলো লোকোমোটিভ ও ১৪৭টি মিটারগেজ কোচ রেল বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি থাকা কোচের মধ্যে আগামিকাল (আজ) ১৫টি কোচের চালান বন্দরে নামবে। বাকি ২০টি কোচ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চলে আসবে। কোচগুলো কোন ট্রেনে যুক্ত হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে’।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ‘২০টি লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ’ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। ২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকার বরাদ্দের সংশোধিত প্রকল্পটি ২০১৭ সালে অনুমোদন হলেও ২০২০ সালের ২৯ জুলাই চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কোচ সরবরাহের সময় নির্ধারিত ছিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২০টি লোকোমোটিভ দেশে আছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ১৪৭টি কোচ রেল বহরে যুক্ত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি সেলুন কোচ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিলাসবহুল কোচগুলো সরকার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এই তিনটি কোচে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এছাড়াও প্রকল্পের ঋণচুক্তিতে ২০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ টাকা ফেরত না এনে কোচের সংকট থাকায় সাশ্রয় হওয়া টাকা থেকে আরও ৩৫টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫টি কোচ কিনতে ২০২৪ সালের জুনে চুক্তি করে রেলওয়ে। আজ যে ১৫টি কোচ আসছে সেগুলো সাশ্রয়ী অর্থে কেনা কোচ। যদিও নির্ধারিত সময়ে কোচগুলো আনা সম্ভব হয়নি। যে কারণে আগামি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে। এই কোচগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সংগ্রহ করা হলেও যন্ত্রাংশ জার্মানীতে তৈরি।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান,প্রকল্পের সুফল ইতোমধ্যে রেলওয়ে ভোগ করছে। লোকোমোটিভ ও কোচ যুক্ত করতে না পারলে যেভাবে রেলরুট বর্ধিত করা হয়েছে সেভাবে নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব হতো না। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে পুরনো কোচে যাত্রী পরিবহন করায় রেলসেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। নতুন কোচগুলো দিয়ে পূর্বাঞ্চলের ছয়টি নতুন রেকে ট্রেন চলাচল করছে।