রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে

0

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের প্রস্তুতির পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রথম ইউনিটের জন্য প্রধান ও সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিং সম্পন্ন হওয়ার ফলে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে কেন্দ্রটি যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। খবর বাংলানিউজের।
প্রধান সেটআপ ট্রান্সফর্মারগুলোর কাজ হলো টার্বাইন জেনারেটরে উৎপাদিত ২৪ কেভি বিদ্যুৎকে ৪০০ কেভিতে রূপান্তর করা, যা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি ট্রান্সফর্মারের ক্যাপাসিটি ১ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত, যা প্রথম ইউনিটে উৎপাদিত ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চেয়েও বেশি। এর ফলে নিরবচ্ছিন্ন ও প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ট্রান্সফর্মার ফেজের ওজন প্রায় ৪০০ টন এবং এগুলোর সংযোগ সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়েছে ১৫০ কিমির অধিক ক্যাবল।
এ ছাড়া ইউনিটটির অভ্যন্তরীণ সব সিস্টেমে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিংও সম্পন্ন হয়েছে। দ্বৈত মোডে কাজ করতে সক্ষম এই ট্রান্সফর্মারগুলো জাতীয় গ্রিড এবং জেনারেটর উভয় উৎস থেকেই বিদ্যুৎ নিতে পারবে। ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীণ সিস্টেমগুলোর জন্য ব্যবহৃত হতো স্ট্যান্ডবাই ট্রান্সফর্মার।
এক্সপোর্টের বাংলাদেশ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরী এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট সব সমন্বিত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার ফল। কঠিন লজিস্টিক্স ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সবাই চমৎকারভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছে। ইউনিটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যভাবে চালুর ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অচিরেই রূপপুর প্রকল্পে ‘হট মিডিয়া টেস্ট’সহ বেশকিছু নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। কোনো কোনো পরীক্ষার সময় বাষ্প নির্গমনের ফলে জনগণের কাছে অপ্রত্যাশিত শব্দ শোনা যাবে। তবে এটি পরীক্ষারই অংশ এবং পূর্ব পরিকল্পিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এতে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ। রসাটম নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, তাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক মানদন্ড নিশ্চিত করা।