‘রুহানিয়তের বিকাশে কালশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তি খলিফায়ে রাসূল (দ.) শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)’

6

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ, ‘আওলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম (মা.জি.আ.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ অসীম অনুগ্রহ করে প্রিয় রাসূল (দ.) কে ধরার বুকে প্রেরণ করেন। যাঁর আগমনের সুসংবাদ নিয়ে এসেছেন পূর্ববর্তী সকল নবীগণ। প্রিয় নবীজী ধরার বুকে আসেন রহমত হিসেবে। যিনি সমগ্র মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে হেদায়াতের আলোয় উদ্ভাসিত করেন। প্রিয় রাসূল (দ.) এর পর আর কোনো নবী-রাসূল দুনিয়াতে আসবেন না। কিন্তু মানুষকে হেদায়াতের জন্য প্রিয় রাসূল (দ.) এর ওয়ারিশ হিসেবে আউলিয়ায়ে কেরামগণ ধরার বুকে আগমন করবেন। বর্তমান সময়ে মানুষ দুনিয়ার মোহে পড়ে দ্বীন-ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। আল্লাহর ভয় ও নবীজির সুন্নাত থেকে দূরে সরে যাওয়া পথ হারানো মানুষদের হেদায়াতের জন্য খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহুতা’আলা আনহু প্রতিষ্ঠা করেছেন এক যুগান্তকারী তরিক্বত, যে তরিক্বতের মূল ভিত্তি হলো এখলাস ও মূল চালিকাশক্তি নবীপ্রেম। এ তরিক্বতে নেই শরিয়তের বিন্দুমাত্র লঙ্ঘন, নেই কোনো শিরক-বিদ’আতের ছোঁয়া। খলিফায়ে রাসূল (দ.) এর তরিক্বতে রয়েছে দৈনিক ১১১১ বার দরূদ শরীফ আদায়, সুন্নাতে মোস্তফা ও মোরা কাবার অনুশীলন, ফয়েজে কুরআনের মাধ্যমে কুরআনের নূর লাভের সুযোগ। নবীজির বাতেনি নূর প্রদানের মাধ্যমে মানুষের ক্বলবের আঁধার দূর করে আলোকিত মানুষ তৈরি করেছেন। নফসের কু-প্রবৃত্তি দমন করে আখলাকে হাসানার বিকাশ করেছেন। যুব সমাজের মাঝে নবীপ্রেমের বিস্তার করেছেন যা মানবজাতির কল্যাণে স্মরণকালের ঐতিহাসিক এবং অনস্বীকার্য অবদান।’গতকাল শুক্রবার বাদে আসর থেকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর মীরবাগিচা ঈদগাহ্ ময়দানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ’র ২৫নং কদলপুর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন ও খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.) স্মরণে আয়োজিত এশায়াত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহ্ফিলে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল।
মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)’র ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি