আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামলা করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। বুধবার (৬ আগস্ট) রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনীয় হামলা মোকাবিলা করছে। যুদ্ধ শুরুর পর রুশ সীমান্তের ভেতরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। তবে এই বিষয়ে ইউক্রেনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করে এবং বুধবার রাতভর লড়াই চলতে থাকে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সুদঝা শহরের উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। শহরটি মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণের দিকে ইঙ্গিত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কিয়েভ সরকার একটি বড় প্ররোচনা শুরু করেছে।
রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ পুতিনকে জানান, রুশ বাহিনী ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছে এবং তাদের সীমান্তে ফেরত পাঠাবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রগতি তাদের সীমানা রক্ষাকারী ইউনিট, সীমান্তরক্ষী এবং বিমান হামলা দ্বারা প্রতিরোধ করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা ও রাশিয়ার পাল্টা হামলার মধ্যে রুশ সামরিক বøগাররা তীব্র লড়াইয়ের কথা বলছেন। রাশিয়া তাদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে রিজার্ভ সেনা পাঠিয়েছে। গেরাসিমভ দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় আক্রমণকারীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে এ দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী অঞ্চলের বিভিন্ন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ‘অবাধে’ গুলি চালাচ্ছে। কিয়েভ ও মস্কো উভয়ই দাবি করেছে, তারা যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য বানাচ্ছে না। যদিও দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতে শতশত বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেলে গুলিবিদ্ধ বাড়ির ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি। কুরস্ক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ নাগরিকদের রক্তদান করার আহŸান জানিয়েছেন।