বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, রুমার গহীন জঙ্গলে কেএনএ’র গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ’র সন্ত্রাসী নিহত হন। এছাড়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। আইএসপিআর আরও জানায়, এ অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে একই উপজেলায় গত ১৪ নভেম্বর কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
রুমার মুনলাই পাড়ায় কেএনএফ’র সশস্ত্র শাখা কেএনএ’র বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই এলাকায় তল্লাশি করে ম্যাগজিনসহ ১টি এসএমজি, ২টি বন্দুক, ১৫৯ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কার্তুজ ভর্তি বেল্ট, ১টি বাইনো, ২টি ওয়াকিটকি সেট, ৩ জোড়া কেএনএ ইউনিফর্ম, ১ জোড়া বুট, ১টি হ্যান্ডকাফ, ১ বোতল স্পিলিন্ডার ও ৫টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে মুনলাই পাড়া উত্তর পশ্চিমে এবং বৈথানি পাড়া থেকে পশ্চিমে রুমা খালের পার্শ্ববর্তী লাইচেংয়াই আমবাগানে (লাইরুনপি পাড়া টিওবি থেকে ২ কি. মি. দক্ষিণ পূর্বে) অবস্থিত কেএনএ’র টং ঘরকে লক্ষ্য করে ক্ষুদ্রাস্ত্রের গুলি ফায়ার করা হয়।
জানা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। কেএনএফ’র সামরিক শাখা কেএনএ’র শতাধিক সদস্য ৩ বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। এ দলের সদস্যরাই এখন পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের ৩টি শাখায় সশস্ত্র হামলা চালালে কেএনএফ সংগঠনটি আবারও আলোচনায় চলে আসে।