নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক অঞ্জন ধরকে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার ১৬ দিন পর মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশাটিও।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে অবস্থান শনাক্ত করার পর গত বুধবার বাঁশখালী উপজেলার চাপাছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা ও ছিনতাইয়ে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার ভিমশারা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ রাজন (৩১), চান্দগাঁও থানার উত্তর মোহরা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফ (২৮), বাঁশখালী উপজেলার চাপাছড়ি গ্রামের নুরুচ্ছফার ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (৩০) এবং একই এলাকার মৃত মীর আহম্মদের ছেলে রবি আলম (৩৯)। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে উত্তর চান্দগাঁও বণিক পাড়া এলাকায় ওই ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে হত্যার পর রিকশাটি ছিনতাই করা হয়। ঘটনার দিন ভোর পাঁচটার দিকে অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক অঞ্জন ধরকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর তার মৃত্যু হয়। মারধরকারীরা রিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম অঞ্জন ধরের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, গত ২ অক্টোবর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেল ও রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের সূত্র পাওয়া যায়। এরপর টানা দু’দিন অভিযান চালিয়ে বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বায়েজিদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদ নগর মীর আহম্মদ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি গ্যারেজ থেকে লুণ্ঠিত রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার চারজনই চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের পেশাই গভীর রাতে রিকশা চুরি করা। সেদিনও ঠিক একইভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চুরি করতে গিয়ে ভুক্তভোগীকে মারধর করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মামলা করার পর আমরা অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করি। আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।