রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতায় দুর্বৃত্তায়ন নিরসন জরুরি

1

বাবুল কান্তি দাশ

অতি সম্প্রতি হত্যা-আত্মহত্যা, চুরি-ডাকাতি, দস্যুতা-কিশোর গ্যাংয়র অপরাধ, মাদক ব্যবসা, অস্ত্রের অপব্যবহার, ধর্ষণ, খুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ পুরো সমাজকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা মায়া মমতা স্নেহ একেবারেই উঠে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়। দেশের মানুষের মাঝে ছিটেফোঁটা দেশপ্রেম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কথায় কথায় আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, দেদারসে অন্যায় অবিচারে লিপ্ত হচ্ছে। রাতারাতি অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার তীব্র নেশা, পদ পদবী ক্ষমতার মোহ মানুষের মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে পশুত্বে উন্নীত হচ্ছে। বিবিধ কারণে দেশের বিভিন্ন স্তরে অদক্ষ অযোগ্য দেশপ্রেমহীন মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এর ফলে সমাজে আদর্শ ও মূল্যবোধের অনুশীলন নি¤œতম পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা অবুঝ কিশোর-কিশোরীদের প্রভাবিত করছে। সামগ্রিক ভাবে সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দেশে নারী নিগ্রহ-ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাতৃশক্তি।সাধারণ মানুষকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। যাতে মাতৃশক্তি আক্রান্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ বাংলাদেশে চলছে এক চরম দুবৃর্ত্তায়ন। জাতীয় জীবনের প্রতিটি অঙ্গন দুর্বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত ও পরিচালিত। তাদের আধিপত্য চারদিকে বিস্তারিত। তারা প্রচন্ড শক্তিধর। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী যে যত বড় মাপের দুর্বৃত্ত সে তত বড় ক্ষমতাবান। সমাজে সে তত উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত, তত বেশি সালামপ্রাপ্ত। তারা গোলাম, নফর, চাকরবাকর, স্তাবক, পারিষদ, অস্ত্রধারী, বন্দুকধারী, লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা পরিবৃত। তারা সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে, মানুষকে ভয় দেখায়, অঙ্গচ্ছেদ করে, রগ কাটে, কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়, মানুষকে জবাই করে, হত্যা করে, গুম করে। লাশ কোনোভাবেই যেন শনাক্ত না করা যায় তার জন্য শত খন্ড-বিখন্ড করে। যেমন মাংস বিক্রেতা কাঠের পাটাতনে দা হাতে টুকরো টুকরো করে দেয় ক্রেতাকে। সমাজে এই দুর্বৃত্তায়নের সংক্রমণ মহামারির মতো ছড়িয়ে গেছে। মানুষ শান্তি খুঁজছে, একটি নিভৃত কোনো নিরাপদ স্থান, একটু স্বস্তি, হাঁফ ছেড়ে বাঁচার জায়গা। না, এ বিশ্ব চরাচরে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা আপনাকে কেউ দিতে পারবে না। শহর, বন্দর, গ্রাম, বন, জঙ্গল, পাহাড়, নদী, চর, জলা- কোথাও নেই। সব দুর্বৃত্তায়িত হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা সব গ্রাস করে চলেছে, আধিপত্য বিস্তার করছে। বাংলাদেশ আজ যেন দানবের দেশ। বাংলাদেশের সব কিছু দখল হয়ে গেছে। দখলবাজ আর দখলবাজে লড়াই হচ্ছে। নতুন দখলবাজ জন্ম নিচ্ছে। জন্ম নিচ্ছে নতুন দুর্বৃত্ত, নতুন সন্ত্রাসী, নতুন গডফাদার। এর বাইরে আজ বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশের আজ এটাই চিত্র, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এটাই বাস্তব রূপ। আমাদের যে নৈতিক অধঃপতন তা রোধ করতে হবে যেকোনো মূল্যে। নৈতিকতা দাবী করার আগে নিজ জীবনকে নৈতিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত করে তুলতে হবে। আর এই আত্মনিয়ন্ত্রণ ঐ দাবীকে কবুল করবে। অন্যথায় তা প্রত্যাশা করা বিড়ম্বনা মাত্র। বহুল শ্রুত – পশু পশুত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু মানুষ মনুষ্যত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। তাঁকে তা অর্জন করতে হয়।এই অর্জনে মানুষ হয়ে উঠে মান-হুঁশ। মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচায়ক হচ্ছে -দুর্বলকে রক্ষা করা আর দুর্জনকে বিনাশ করা।কিন্তু মনুষ্যত্বের বিকাশে মনোযোগী না হওয়ায় এবং ব্যাহত হওয়ায় মানুষ মানুষের কাছে গৃহপালিত পোষা পশুর আদরও পায় না। প্রতিযোগিতা আর প্রতিদ্ব›িদ্বতা যেখানে তা প্রাকৃতিক নিয়ম কিন্তু তা আজ ক্ষমতার দাপট আর পেশীশক্তির কাছে ম্রিয়মাণ। দেহে ক্ষীণ বুদ্ধিতে হীন ব্যক্তিরা শত অনুগত থাকার পরও তা’দের উপর শোষণ বঞ্চনা নিপীড়ন ঐ সকল ক্ষমতাবান ও পেশীশক্তির আত্মপ্রসাদ লাভের উত্তম পন্থা। বুদ্ধিমানরা এদের ছলে বলে কৌশলে নিয়ত বিব্রত বিভ্রান্ত প্রতারণা করে যাচ্ছে। সমাজে শান্তিতে সহাবস্থান ঐসকল বুদ্ধিমান শক্তিমান ক্ষমতাবানদের চক্ষুশূল। বিভাজন বৈষম্য এদের সাধনা।সিদ্ধি তাই অস্থিরতা অরাজকতা বিশৃঙ্খলা। সমাজে এখন প্রয়োজন আত্মপ্রত্যয়ী অহং সচেতন এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের। যা সম্ভব প্রকৃত সুশিক্ষায়,সুশাসনে এবং বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থায়।মানবপ্রীতি সদাচার সহাবস্থান ব্যতিরেক সমাজ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা সংরক্ষিত হবে না। সহযোগে সহভাগে সপারিপার্শ্বিক পথচলা হোক মানবচরিত্রের অন্যতম অনুষঙ্গ। সুবিধার ডাকে নয়, সত্যের ডাকে সাড়া দিই। আলোকিত হই।সমাজকে করি সমৃদ্ধ, দেশকে করি উন্নত। সুবিধা আজকের, সত্য চিরকালীন। সুবিধা সংকোচনের, সত্য সম্প্রসারণের। সুবিধাবাদী বিধ্বস্তি ও ধ্বংসের কারণ। সত্যবাদী সৃজন মননে সুন্দরে উদ্ভাসিত পথপ্রদর্শক। সুবিধাভোগী, সুবিধাবাদী সামাজিক অস্থিরতার কারণ।
সত্যবাদী সামাজিক স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত। অতএব সুবিধা’য় নয়,সত্যে নিমগ্ন হই।সার্থক করি মানবজন্মকে। স্থায়িত্ব দিই মানব সভ্যতার।প্রামাণিক হই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে। আজ সবার মনে একটা প্রশ্ন চারদিকে এত দুর্বৃত্তের চাষাবাদ কেন? এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা করি। কিন্তু কীভাবে সত্য সুন্দরে উদ্ভাসিত মানুষ তৈরী করা যায় তার কোনো গবেষণা নেই। যার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বেড়েই চলেছে দুর্বৃত্ত, কুপ্রবৃত্তি সঞ্জাত মানুষ। এই সকল দুর্বৃত্তের ঝনঝনানিতে ক্রমশঃ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে সৎ প্রবৃত্তি সম্পন্ন মানুষেরা। বলা যেতে পারে কোনঠাসা। এখানে উল্লেখ্য যে দুর্বৃত্তরা বিশ্বব্যাপী সংঘবদ্ধ অপরদিকে অহংজনিত কারণে সজ্জন ব্যক্তিরা ক্রমশ পরস্পর থেকে পরস্পর দূরে সরে যাচ্ছে। যা দুর্বৃত্তপনাদের আগুনে ঘি ঢালার সামিল। পৃথিবীতে আমরা যদি শুদ্ধ সত্তা সম্পন্ন সন্তানের আগমন ঘটাতে না পারি তাহলে বিশ্বব্যাপী ক্রমাগত বেড়ে যাবে দুর্বৃত্তদের মহোৎসব। জগতের কল্যাণের জন্য আরো বহু শুদ্ধ সত্তার প্রয়োজন। আমার মনে হয়, তারা ( শুদ্ধ সত্তাসমূহ) সব নিরালম্ব বায়ুভূত নিরাশ্রয় হ’য়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জন্ম নেবার মত ঠাঁই পাচ্ছে না। ঠিকানা পাচ্ছে না। দ্বারে দ্বারে করাঘাত করে বেড়াচ্ছে। যেখানে নিষ্ঠা নেই, পবিত্রতা নেই, সদাচার নেই, সংযম নেই, বিহিত সুসংস্কার নেই, সেখানে তো আর তারা আসতে পারে না। তাইতো প্রয়োজন আদর্শানুগ জীবন যাপন। সংযম নিয়ন্ত্রণে চলন। প্রয়োজন বিবাহ -সংস্কার। প্রয়োজন সুশিক্ষা। প্রতিটি পরিবার যেন কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য সর্বোপরি আদর্শানুগ চলনে অভ্যস্ত হয় তার বিহিত ব্যবস্থা করা। পরিবারগুলিকে আদর্শনিষ্ঠ পথে অভ্যস্ত ক’রে তোলা। সাত্তি¡ক আচার, নিয়ম, বিধি, বিধানগুলিকে যদি পুনরুজ্জীবিত না করে তুলতে পারি , তাহ’লে কিন্তু শুধু দর্শনের বক্তৃতা ঝেড়ে কাজ হবে না। ধর্ম বলি আর শিক্ষা বলি কোনোটাই আমাদের কুপ্রবৃত্তি প্রশমণ করতে ব্যর্থ। সাথে সাথে ব্যর্থ শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি। কারণ আমরা যা বলি তা বিশ্বাস করি না আর যা বিশ্বাস করি তা বলি না।
এই দ্বৈত সত্তা যতদিন মগজে সেঁটে থাকবে ততদিন হাজার কিছু করলেও আমাদের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটবে না। আমাদের আচার আচরণের মধ্যে যদি সৎপ্রবৃত্তির স্ফূরণ ঘটাতে না পারি তাহলে শুধু বলার মাধ্যমে অন্যকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হবো না। কথায় আছে নিজে আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও। স্মরণে রাখি অন্ধ কখনো অন্ধকে পথ দেখাতে পারে না। অন্ধকে পথ দেখাতে হলে নিজেকে শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত হতে হবে। হতে হবে জ্ঞান ও প্রাজ্ঞতায় চক্ষুষ্মান। তবেই পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকে আলোকিত করতে সক্ষম হবো। এহেন দুর্বৃত্ত পরিবেষ্টিত সমাজ থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে আত্মসংযম ও আত্মজয়ে নিমগ্ন হওয়া ও নিমগ্ন করা। কারণ – সহস্র সহস্র যুদ্ধ জয়ের চেয়ে আত্মসমীক্ষা ও আত্ম সংযম দ্বারা আত্মজয়ই শ্রেষ্ঠ। এ মহান জয় দৈহিক মানসিক নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের প্রতিস্তরে প্রজ্ঞালোকে উদ্ভাসিত ও সুখ শান্তিতে ভরপুর করে। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সদাচারের চর্চাকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং এই সদাচার হতে হবে শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক। এই তিন সদাচারে যদি নিজেকে এবং অন্যকে উপযোগী করে তুলতে পারব না তাহলে অন্য কিছুতেই কিচ্ছু হবে না। আর এটি হতে হবে সমাজে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং সমাজ যাদেরকে মান্যতা দেয় তাদের সদাচারে প্রবৃত্ত হওয়ার মাধ্যমে। কারণ পানি উপর থেকে নীচ দিকে গড়ায়। মাথায় যদি পচন ধরে শরীরের অন্য কোথাও চিকিৎসায় ফল বয়ে আনবে না। তাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নীতিনির্ধারক যারা রয়েছেন তাদেরকে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে দুর্বৃত্তায়ন নিরসনে। দুর্বৃত্তায়নের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সব অর্জনই বিসর্জনে পর্যবসিত হবে। সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাইলে বাক স্বাধীনতা , বোধের স্বাধীনতা, মানুষের বিশ্বাসের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে হবে। সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় যতœবান হতে হবে। দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে মনোযোগী হতে হবে কর্মকুশল সক্রিয় প্রচেষ্টায় চালাকিমুক্ত হয়ে। প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, ন্যায়পরায়ণতা ও সেবাপরায়ণতা নিশ্চিত করতে হবে; জনগণের সেবক হিসেবে প্রশাসনকে গড়ে তুলতে হবে। এসবকে রাখতে হবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আজকে আমাদের খুব বেশি করে ভোগাচ্ছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণ। জ্ঞান বিজ্ঞান তথ্য প্রযুক্তির একবিংশ শতাব্দী দেখলো রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। রাজনীতি আজ এতটাই সর্বগ্রাসী যে এর থেকে কোনও কিছুরই নিস্তার নেই।
সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অবস্থা, সাংস্কৃতিক চর্চা, ধর্মীয় সংস্কার বা স¤প্রীতি, এমনকি পরিবেশ সবই আজ রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ব্যক্তিজীবন থেকে জনজীবন কোথায় নেই স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতির ভয়াল ছোবল!বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারেনি রাজনীতি। অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি। নষ্ট ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির একটি ভয়াবহ পরিণতি ভঙ্গুর শাসনকাঠামো, যার ফলাফল অপশাসন। আইন, বিধিবিধান, নিয়ম পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠান শাসনকাঠামোর মূল নিয়ামক। অনেক সময়েই রাজনৈতিক বিবেচনায় আমাদের দেশে আইন প্রণীত, প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ হয়, কিংবা আইন মানা হয় না। ফলে অবিচার ও বিচারহীনতার এক ভয়াবহ সংস্কৃতি আমাদের সমাজে গড়ে উঠেছে। আর তাই চারদিকে চলে দুর্বৃত্তায়নের চাষাবাদ। দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং জনজীবনে স্বস্তির পরশ বোলাতে এই দুর্বৃত্তায়নের চাষাবাদ বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে তা নিরসনে। শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা যেন পরস্পর পরস্পরের সহযোগী হয়ে উঠতে পারি এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে সমাসীন করতে পারি। পরিশেষে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মাধ্যমে আমরা সমবেত কণ্ঠে বলে উঠি – মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-
রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না-
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না

লেখক : প্রাবন্ধিক