রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য জনগণের কাছে অনাকাঙ্খিক্ষত বলেও জানান তিনি।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে স্বাগত জানায়। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে গিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিলে জনগণ হতাশ হবে’।
তরুণরা প্রশ্নবিদ্ধ পথে না গিয়ে, স্বচ্ছ পথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য ও মন্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ, কিংবা প্রতিহিংসামূলক হয়- সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্খিত’।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভিন্নমত ভিন্নপথ থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, একটি উদার গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা’।
বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার না নির্বাচন এ নিয়ে কেউ কেউ ক‚টতর্ক শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের সঙ্গে আমাদের দেওয়া দু-একটি ছাড়া সবই মিল রয়েছে’। তবে এই মুহূর্তে সংস্কারের চেয়ে সংসার পরিচালনা করা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও মনে তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে নিম্নবিত্তের সংসার টেকানো দায় হয়ে গেছে। বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করা সম্ভব এই সরকারের পক্ষে। কিন্তু জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য কমাতে পারছে না বর্তমান সরকার। তাদের প্রশ্ন সরকারের কেউ কেউ অন্য ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকার পারছে না?’
এসময় তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘পলাতক সরকার রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। নির্বাচন কমিশন, দুদকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে’।