রাবিপ্রবি’র নবনিযুক্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমানের যোগদান

3

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন এবং ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজির প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান গতকাল ১০ জানুয়ারি যোগদান করেছেন। যোগদান করার পর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
তিনি ভাইস চ্যান্সেলর দপ্তরে শুক্রবার সকাল ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাÐের বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের আবাসিক হল পরিদর্শন করে হলের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
গত ৯ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ. এস. এম. কাসেম স্বাক্ষরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. আতিয়ার রহমান, পিইএচডি মহোদয় দক্ষিু আফ্রিকান সরকারের NRF ফেলোশিপের আওতায় KwaZulu Natal University, Durban থেকে এক বছর মেয়াদী পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি জাপানের United Graduate School of Agricultural Sciences, Ehime University থেকে ২০০৬ সালে বায়োকেমিস্ট্রি এবং ফুড সায়েন্স বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি থাইল্যান্ডে Walailak University G International Professor (Distinguished Scholar Category)) হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় ২০ টির অধিক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করেন এবং দেশি ও বিদেশি স্বনামধন্য পিয়ার রিভিউকৃত বৈজ্ঞানিক জার্নালে ১৩৫টির বেশি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।