রাজস্ব আহরণ বাড়লেও অধরা লক্ষ্যমাত্রা

1

রাজস্ব আহরণের চিত্রে আবারও আগের মতো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। আদায়ের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লেও বরাবরের মতোই লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে রাজস্ব আহরণে প্রত্যাশিত না হলেও সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। খবর সিভয়েসের
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তুলনায় চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৩) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে ৭ হাজার ২৯৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাড়তি হলেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ৭ হাজার ৮১২ কোটি ৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৫ হাজার ৫২২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে ৭০ হাজার ৬৩১ কোটি টাকার বিপরীতে ৬২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণের হার ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ হলেও গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
কয়েকবছরের রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৫৯ হাজার ১৫৯ কোটি ৮৩ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৭৪ হাজার ২০৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় ৬১ হাজার ৩৫০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিবছরই রাজস্ব আদায়ে নতুনভাবে রেকর্ড গড়লেও বরাবরই পিছিয়ে আছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে।
কাস্টম হাউসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘মাসভিত্তিক হিসেবে আদায়ে আমরা একটু পিছিয়ে। তবে হাউসের ইফিসিয়েন্সি বাড়ছে। যা আদায়ের চিত্র দেখলে বোঝা যায়। গেল এপ্রিল মাসে আমাদের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম হলেও বলা যায় আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি।’
এ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি লোকমান চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে কাস্টম হাউসের প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। তবে, ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। নীতি নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের মতামতকে গুরুত্ব দিলে রাজস্ব আহরণে আরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
আমদানিকারক মো. সোলায়মান বলেন, ‘কাস্টমসের কিছু প্রক্রিয়া এখনও সময়সাপেক্ষ এবং জটিল। এসব প্রক্রিয়া সরল করা গেলে ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি রাজস্ব আহরণের গতি আরও বাড়বে।’