রাজনীতির পালাবদল যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ না হয়

1

জসিম উদ্দিন মনছুরি

বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। কাগজে-কলমে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আওয়ামী সরকারের সীমাহীন জুলুম নির্যাতনে জনগণ অতিষ্ঠ ছিলো। দেশ দুর্নীতির চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। নবগঠিত দেশ দুর্নীতির বেড়াজালে আক্রান্ত হয়ে অরাজকতা শুরু হয়। ঘুষ, দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারে দেশের পরিস্থিতি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। জনজীবন বিপর্যস্ত ও বিপন্ন হয়। অথচ দেশ স্বাধীন হয়েছিলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। বাকস্বাধীনতা ফিরে পেতে। জনগণ মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার পর জনগণ সব বিষয়ে চরমভাবে অবহেলিত,নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আওয়ামী সরকার গণতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। শেখ মুজিব একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাকশাল প্রতিষ্ঠা করলে জনগণ ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর হাতে আওয়ামী সরকার উৎপাত এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে সকল রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। হরণ করা হয় জনগণের অধিকার ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মরহুম জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতন্ত্র পুণপ্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। বিপথগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা তিনি ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে শাহাদাত বরণ করলে দেশে পুনরায় অন্ধকার নেমে আসে। স্বৈরাচারী হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করলে দীর্ঘ নয় বছর দেশের জনগণকে দুঃশাসনের কবলে পড়তে হয়। এরশাদও আওয়ামী সরকারের মতো গণতন্ত্রের কবর রচনা করেন। তার নয় বছরের সীমাহীন দুঃশাসনে জনগণ কণ্ঠরুদ্ধ হয়েছিলো। ভোট বিহীন নির্বাচনে বারবার ক্ষমতা গ্রহণ করে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে আসছিলো। তার দ্বারা জনগণ দীর্ঘ ৯ বছর প্রতারিত হয়ে আসে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সব দলের ঐক্যমত্যে দুর্বার আন্দোলনের ফলে এরশাদ সরকারের পতন হয়। তখন জনগণ আশার আলো দেখতে পায়। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিএনপি সরকার গঠন করলে কিঞ্চিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণ স্বস্তির নিশ্বাস পেলে। বাকস্বাধীনতা ফিরে আসে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও ফিরে পায়। গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করে স্বৈরাচারীরা নিজেদের অপকর্মকে আড়াল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। শক্তিশালী গণমাধ্যম না থাকলে স্বৈরাচারীরা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করে ফেরেশতা বনে যায়। সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন, গুম, খুন ও রাহাজানীতে দেশ পরিচালনা করে।
আমাদের দেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেনো সেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য জনগণকে বেগ পেতে হয়। আইনের তোয়াক্কা না করে সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অথবা নিজেদের মনগড়া সংবিধান রচনা করে তারা সরকার থেকে নামতে চায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে সেই সরকারকে বাধ্য করে নামাতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে বাংলাদেশের আকাশে নেমে আসে কালো মেঘের ভয়ংকর থাবা। আওয়ামী সরকার পূর্বেকার রীতিনীতি অবলম্বন করে পুনরায় দেশে দুঃশাসন ব্যবস্থা চালু করে। জনগণকে জিম্মি করে শাসনের নামে দুঃশাসন চলাতে থাকে। জনগণের ভাগ্য আকাশে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা জনগণকে এক প্রকার জিম্মি করে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য উদোরপিন্ডিবুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে থাকে। ভারতের মদদে ‘র’ য়ের এজেন্ডায় দেশ পরিচালনা করতে থাকে। ভারতের শিখিয়ে দেওয়া বুলি আউড়াতে থাকে। ভারত স্বাধীনতার পর থেকে বরাবরই নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করে আসছে। নিজেদের রপ্তানি পণ্য উচ্চমূল্যে বাংলাদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। বন্ধু রাষ্ট্র উপাধি দিয়ে আগ্রাসন নীতি অবলম্বন করে।জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করে রাখার পাঁয়তারা করে ভারত সরকার। তবুও আওয়ামী সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র উপাধি দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ ভারতে যথাযথ মূল্যের পরিবর্তে কিঞ্চিত মূল্যে রপ্তানি করেছে বলা যায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ট্রানজিট সুবিধাসহ সব রকমের সুবিধা দিয়ে ভারতকে সহায়তা করেছে আওয়ামী সরকার। ভারতের ইশারায় দেশপ্রিয় জনগণকে তারা হত্যা ,গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করে দেশকে এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছিলো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের এ যেন পুরনো রূপ। পরবর্তীতে ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে কিছুটা দুঃশ্বাসন থেকে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তি পেলেও পূর্ণাঙ্গভাবে মুক্তি পায়নি। তারাও বিরোধী মতের উপর কঠোরতা আরোপ করতে থাকে। আওয়ামী সরকারের যে নীতি ছিলো, বিরোধী মতের উপর কঠোরতা আরোপ সেই ব্যবস্থা তারাও কিঞ্চিত হলেও বহাল রেখেছিলো। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কিছুটা প্রতিফলন ঘটলেও নিজেদের দলীয় পরিচয়ে নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ক্ষমতা থেকে না নামার ফলশ্রæতিতে ফখরুদ্দিন – মঈন উদ্দিন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে গণতন্ত্রকে প্রায় হরণ করেছিলো। তাদের অপকর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে বসে এনে তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। শুরু হয় দেশে অরাজকতার ও দুঃশাসনের সীমাহীন ষোলটি বছর। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার অর্থপাচার থেকে শুরু করে, সীমাহীন ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিরোধীদের উপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে গেছে। সেই ভয়ংকর ১৬ টি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। একের পর এক ইস্যু টেনে এনে মূল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করে গেছে আওয়ামী সরকার। জঙ্গি নাটকের মাধ্যমে মূল আসামিকে গোপন করে নিরপরাধ জনগণকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো হয়েছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদের কঠোরভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। হরণ করা হয়েছে বাকস্বাধীনতা। স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার। আওয়ামী পরিচয় দিয়ে তাদের দলীয় কর্মীরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ,বাজার দখল থেকে শুরু করে সব অপকর্মই চালিয়ে গেছে। তাদের কথা শুনলে জনগণ এখনো শিউরে ওঠে। আওয়ামী সরকার যখন একের পর এক ভোট বিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে গণতন্ত্রের ত্রাণকর্তা বনে যায় তখন আবাবিল হয়ে ছাত্র-জনতার উত্থান হয়। ছাত্র জনতার উত্থাল বিপ্লবে ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এতদিন যেই ভারত বাংলাদেশের বন্ধু পরিচয় দিয়েছিলো সেই ভারতেই শেখ হাসিনার ঠাঁই হয়। শেখ হাসিনা ও ভারত সরকার মিলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘র’য়ের বিভিন্ন কর্মকাÐ জনগণের কাছে এখনো অমাবস্যা রাতের অন্ধকারের মতো কালো অধ্যায় হয়ে শোকের ছায়ায় জনগণকে ব্যতিগ্রস্ত করে তোলে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে জনগণকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের কথা বলে লুকিয়ে থাকা বিএনপির নবউত্থান হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে তা জনগণকে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এরই মধ্যেই প্রতিদিন বিএনপি নেতা কর্মীর চাঁদাবাজি দখলবাজির খবর উন্মোচিত হচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজি ,দখলবাজি ,টেন্ডারবাজি জনগণকে ভাবিয়ে তুলছে। ছাত্র-জনতা ও জনগণ যেই আশায় জীবনবাজি রেখে ১৫ ০০ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অগণিত যুদ্ধাহত ছাত্র-জনতার বিপ্লবে পরিবর্তন এনেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তাদের এহেন পরিস্থিতি জনগণকে ভাবাচ্ছে। জনগণ মনে করছে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন পেরিয়ে গেলেও ভবিষ্যতে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে আওয়ামী সরকারের প্রতিবিম্ব হচ্ছে কিনা। কেননা ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে বিএনপির নেতা কর্মীরা যেভাবে দখলদারি ও চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে তা জনগণকে আওয়ামীলীগ দুঃশাসনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার। অথচ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিলো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবকিছুতে পরিবর্তন আসবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার ফিরে পাবে জনগণ। ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত হবে দেশ। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি থেকে জনগণ মুক্তি পাবে। বাকস্বাধীনতা ফিরে পাবে। গণমাধ্যম ফিরে পাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।নিজেদের মতো করে সরকারের ভুল ত্রæটি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরতে পারবে।স্বাধীন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীন মত প্রকাশে জনগণের কথা উঠে আসবে প্রতিনিয়ত। ব্যাপক প্রত্যাশা ছিলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের নড়বড়ে অবস্থান জনগণকে আশাহত করেছে। তারা দমন করতে পারছে না চাঁদাবাজদের, দুর্নীতিবাজদের। এমনকি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজনৈতিক পালা বদলে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ছিলো সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। কিন্তু এর মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকান্ডে জনগণ অতিষ্ঠ। দেশের জনগণ মনে করছে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে না জানি আওয়ামী সরকারের মতো মুদ্রার ওপিঠ কিনা। যদি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ হয় তাহলে এত লাশ ! এত আন্দোলনের কি প্রয়োজন ছিল ? বিএনপি যদি নিজেদের ভুল বুঝতে না পারে এবং নেতাকর্মীদেরকে কন্ট্রোল করতে না পারে তাহলে তারা ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে জনগণের দৃঢ় বিশ্বাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো দেশে তৃতীয় কোন পক্ষের অভ্যুত্থান হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। কারণ দেশের জনগণ সব সময় চায় স্বাধীনভাবে চলাচলের, মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার, সুন্দর ও সাবলীলভাবে চলাফেরার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা ব্যাপক। দেশের জনগণ চায় ক্ষমতার পালাবদল যেন আওয়ামী দুঃশাসনের মতো না হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ তৃতীয় কোন পক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়লেও বিস্মিত হওয়ার কোন কারণ নাই। জনগণের ভাবার সময় এসেছে যেই দলকে ক্ষমতায় পাঠালে জনগণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচার না করে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। জনগণের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারবে। এমন একটি দল ক্ষমতায় আসুক এটা জনগণের প্রত্যাশা। দেশের জনগণ কখনো চাইবে না ক্ষমতার পালাবদল যেন মুদ্রার এপিট ওপিঠ না হয়।

লেখক : প্রাবন্ধিক