শীতের সকালে কোয়াশা ভেজা রুদ্দে কৃষকরা মাঠ জুড়ে আলু চাষ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ধান চাষের পাশাপাশি জমিতে আলু চাষ করে আসছে। এখানকার আলুর চাহিদা রযেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে। সল্প খরছে আলু চাষ করা যায়। আবাহাওয়া ঠিকমত থাকলে আলু চাষে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে।পরপর গেল দুবছর লোকসান দেওয়ার পর এবার লাভের মুখ দেখবেনন রাঙ্গুনিয়ার আলু চাষিরা। সে আশা নিয়ে দিগন্ত মাঠ জুড়ে আলু চাষের চিত্র। ধান, মাছ সবজি চাষের মধ্যে আলু চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। রাঙ্গুনিয়া কৃষি সম্প্রাসরণ কমৃকর্তা মোহাম্মদ শহীদুজজামান জানান, এবারে রাঙ্গুনিয়া ৩২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হবে। আলু চাষাবাদে কৃষকের পরামর্শ দিযে থাকি। রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সেগুনবাগান এলাকার কুষক আবদুল ছোবান জানান, আমি এবার ১ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। আমার জমি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমি ধান চাষের পামাপাশি আলু চাষ করে আসছি। অল্প খরছে আলু চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। যদি পরিবেশ অনুকূলে থাকে। তিনি জানান, গত বছর তিন একর জমিতে আলু চাষ করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছি। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় লোকসান গুণেছি। তিনি বলেন, লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশায় এ বছরও ৩ একর জমিতে জাতের আলু চাষ করেছি। তিন একর জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে আলুর দাম রযেছে। এভাবে আলুর দাম থাকলে জমি থেকে আলু তুলে বিক্রি করতে পারলে খরচের দ্বিগুণ উঠে আসবে। আমাদের কৃষকের মাঝে আলু চাষ দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। অনেকে ধানি জমিতে এবার আলু চাষ করছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেকার যুবকরাও সল্প পূজিতে আলু চাষ করতে দেখা যায়। পারুয়া ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের আলু চাষি দিদারুল আলম জানান, এ বছর জমি তৈরি, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও আলু উত্তোলন পর্যন্ত একরে খরচ পড়েছে ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ হিসেবে এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ৭ টাকা ২৫ পয়সা। আশাকরি এবারে আলুর বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান চট্টগ্রামের শষ্য ভান্ডার খ্যাত গুমাই বিলে ধান চাষের পর বিস্তীর্ণ জমিতে আল চাষ হয়। আলু চাষ করতে কৃষকের তেমন কষ্ট করতে হয়না। আলু চাষে লাভবান হবে কৃষক। আমরা কৃষকদের আলু চাষে নানা রকম পরামর্শ দিয়ে আসছি।