রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা বাণ্যিজিক কেন্দ্র চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বছরের পর বছর বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে নি¤œ এলাকা হাঁটুপানি জমে জলকাদায় একাকার হয়ে পড়ে। এতে শত শত ব্যবসায়ী ও পথচারী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এরকম অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও নিরসনে কেউ এগিয়ে আসেনি গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে লিচুবাগান হাঁটু সমান পানি ও জলকাদায় ভওে উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তা দেখার পর রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও কামরুল হাসান লিচুবাগানের ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
লিচুবাগানে রাঙ্গুনিয়ার নানা জায়গার মানুষ আসে কেনাকাটা করতে। সকাল হলে শত শত নারী পুরুষের পদচারণায় লিচুবাগান ব্যস্ততম এলাকায় পরিণত হয়। কিন্তু পানি চলাচলের পথ ময়লা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে পড়ায় দোকানের মালিক ও ক্রেতা সাধারণ হাঁটু সমান ময়লা পানি ডিঙ্গিয়ে যাওয়া আসা করে। এতে লিচুবাগানের ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। পানি যাওয়ার ড্রেনের উপর বিল্ডিং ও নানা স্থাপনা করার কারণে বর্ষায় লিচুবাগানের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের পাশ দিয়ে ড্রেনটি এখন ময়লা, আবর্জনা, প্লাস্টিক সামগ্রি জমে পানি যাওয়ার পথটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পানি যেতে না পারায় আমাদের স্কুলের মুখ থেকে উপরের অংশে হাঁটু সমান জলকাদার দূষিত ময়লা পানি জমে যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা এ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চাই। আমরা এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অনেকের কাছে ধর্ণা দিয়েছি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমরা কয়েকজন বাসা ও ভবন মালিক গতকাল সোমবার জমে থাকা ময়লা আবর্জনা সরানোর জন্য কাজ করি।
পরিস্থিতি দেখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সরেসজমিনে কানোনগোর নেতৃত্বে একটি টিম আসে। তারা এ সমস্যা কিভাবে নিরসন করা যায় সেটা বিবেচনা করা হবে। প্রতিনিধি দল জানায়, বাণিজ্যিব এলাকা লিচুবাগানের দীর্ঘদিনের অন্যতম সমস্যা সরেজমিনে দেখেছি।
লিচুবাগানের ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক অর্থ সম্পাক রিপন গুহ জানান, এ সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। আমরা ব্যবসায়ীরা জলবদ্ধতার জন্য বছরের পর বছর ময়লা আর্বজনার কাদা পানিতে ভেসে থাকি। স্থায়ী সমাধান দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। সমস্যার স্থায়ী নিরসনে রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানাই।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, আমি লিচুবাগানের জলবদ্ধার চিত্র দেখে তা নিরসনে কাজ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আবার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছি। সে হিসেবে আমার বিষয়টি নিরসনে কাজ করার দায়িত্ববোধ থেকে জনকল্যাণে কাজ করার জন্য প্রচেষ্টামাত্র।