রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার গাবতল থেকে মরিয়মন রের চৌমুহনি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিসি সড়কের বেহাল দশায় যানবাহন ও জন চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছ। বেহাল সড়কটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার সড়কজুড়ে নানা খানা-খন্দকে ভরে গেছে। সড়কের ২৩টি স্পটে ছোট-বড় গর্তের কারণে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। সড়কটি চওড়া করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে যে- একদিক থেকে গাড়ি আসলে অপরদিক থেকে গাড়ি যাওয়ার সময় আটকে যায়। তারমধ্যে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ খানা-খন্দ। সড়কটির প্রশস্তকরণে স্থানীয়দের দাবি বছরের পর বছর ধরে থাকছে উপেক্ষিত। এছাড়াও বর্ষায় সড়কটিতে চলাচল একেবারেই দুঃস্বাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠছে। ট্রাকভর্তি মাটি নিয়ে চলাচলের সময় খানা-খন্দে চাকা পড়ে ট্রাকের মাটি পড়ে গিয়ে সড়কটি জল-কাদায় একাকার। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রোগীসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের চলাচলও দূঢ়হ হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বৃষ্টি হলে সড়কটিতে পড়ে থাকা মাটি নরম হয়ে এক কিলোমিটার অংশজুগে কাঁদাযুক্ত হয়ে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
এ সড়কটি দিয়ে সাধারণ পথচারী, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চলাচল করে। এছাড়াও প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ছোট-বড় শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, গুঁটিকয়েক মাটি ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্রিকস ফিল্ডে মাটি বিক্রি করে বড় বড় ডাম্পারের মাধ্যমে। এসব ডাম্পার ট্রাক থেকে মাটি পড়ে এই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। সড়কের উপর থেকে কাঁদাগুলো সরিয়ে দ্রুততম সময়ে সংস্কার না করলে আসন্ন বর্ষায় এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ও রাজানগরে অর্ধশতাধিক ইট ভাটায় পাহাড় কেটে ট্রাকে করে মাটি ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে যাচ্ছে। ইট তৈরির জন্য ট্রাকে মাটি নেওয়ায় ট্রাকভর্তি মাটি সড়কে পড়ে কাদায় ভরে যায়। এতে সড়কটি যান ও মানুষের চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। আবার বিস্তীর্ণ সড়ক জুড়ে ছোট ছোট খানা-খন্দকে ভরে গেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সড়কের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। রাজানগর ইউনিয়নের রাণীর হাট এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী তাহমিনা জামান বৃষ্টি জানান, এ সড়ক দিয়ে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই এই দুর্ভোগ অসহ্য হয়ে উঠে। পিচ্ছিল সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। আর সড়কটি খুবই ছোট। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম জানান, রাঙ্গুনিয়ার ডিসি সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণে আমরা প্রকল্প নেবো। চেষ্টা করবো দ্রুত কিভাবে এটি করা যায়।