মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হলে এবং সঠিক দাম পেলে লাভ হবে বলে আশা করছেন তারা। অন্য চাষের চেয়ে পেঁয়াজ চাষ সহজ। স্বল্প পুঁজিতে কম সময়ে পেঁয়াজ চাষ করে ঘরে তোলা যায়। রাঙ্গুনিয়ায় ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ধান ও সবজি চাষের পাশাপাশি দিন দিন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকরা সবজি চাষের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের স্বপ্ন বুনছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় এই বছর অনেক কৃষক নতুন করে পেঁয়াজ আবাদ করছেন। কৃষি অফিস থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে তারা এই পেঁয়াজ চাষে আরো লাভবান হবেন এবং পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে বলেও জানান।তবে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সরকারি কৃষি প্রণোদনা কম হওয়ার কারণে বেশির ভাগ কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া সম্ভব হয় না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে মোট পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষককে পেঁয়াছ চাষের প্রণোদনা ও চাষে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করি।
পৌরসভার মুরাদনগর এলাকার কৃষক নুরুর ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন, ‘গত বছর আমি ১ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম এবং একলাখ টাকার মতো লাভ হয়েছিল। এবার এক একরের কাছাকাছি জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছি। আল্লাহ ভাগ্য রাখলে আশা করছি লাভ হবে। আমরা গরীব কৃষক তাই কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমাদের যেন কিছু অনুদান দেয়।’
পেঁয়াজ চাষী মোজাম্মেল বলেন, ‘গত বছর ৪ শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলাম তাতে ভালো দাম পাওয়া গিয়েছিলাম। এবার ৫ শতক জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। কেমন লাভ হবে বলতে পারছি না।’
পারুয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আবদুর কাদের নামে আরেকজন পেঁয়াজ চাষী বলেন, ‘দুই শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। পেঁয়াজগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। লাভের আশায় পেঁয়াজের আবাদ করছি তারপরেও প্রকৃতি সহায় থাকলে যা খরচ করেছি তা উঠে আসবে।’ পেঁয়াজ চাষী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতবার পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম এবং কিছু লাভবান হয়েছিলাম। এবারও তিন শতক জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছি। আশা করছি কিছুটা লাভবান হতে পারবো।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘বর্তমানে সদর উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৯ হেক্টর জমিতে। আমাদের রক্ষ্যমাত্রা ছাড়াও কৃষকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে পেঁয়াজ চাষ করে থাকে। আমরা কুষককে সবসময় সহযোগিতা দিয়ে আসছি। কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছি। আশা করি পেঁয়াজ চাষে লাভবান হবে এখানকার কৃষক।’