রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়ায় ছাগলে ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের নজরের টিলা তাজ মুল্লুকের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একজনকে গ্রেফতার করে। তাকে শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয় মরিয়নগর ফুলগাজীপাড়া এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এমরান হোসেন (৩২), তার ভাতিজা সিপাত (২০), নজরেরটিলা এলাকার খোকনের ছেলে মো. মিজান (৩০) এবং এমরানের ভাই ইকবাল হোসেন (৪৫)। তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের ফুলগাজীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে হেলাল হোসেন বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়। তিনি মরিয়মনগর ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে। মামলায় গ্রেফতার আলী ছাড়াও সৈয়দ আমান মাস্টারের ছেলে মো. আবদুর রহমান (৩৬), আবদুল করিমের ছেলে মো. ফারুক (২৪), হাফেজ সওদাগরের ছেলে ফাহিম (২৪) রাকিব (২৯) রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি পাঁচবাড়ি আদর্শ শেখপাড়া এলাকায়।
মামলার এজহার বাদি ও এজহার সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের মরিয়মনগর নজরেরটিলা এলাকায় একটি ছাগলের খামার রয়েছে। শুক্রবার খামারের একটি ছাগল গ্রেফতার আলীর আত্মীয় কামালের ক্ষেতে গেলে এই নিয়ে আলী ও ইমরানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একইদিন বিকালে এর জের ধরে গ্রেফতার মোহাম্মদ আলী সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে ইঞ্জিনিয়ার ইমরানের উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে তার ভাতিজা সিপাত, মিজান ও ইকবাল এগিয়ে এলে তাদের সবাইকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তারা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদের এমনকি যারা বাঁচাতে এসেছে তাদেরও দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলা চালিয়ে আহত করেছে। গ্রেফতার আলীর ডাকে সাড়া দিয়ে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা আমাদের খুনের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী না এলে সম্ভবত কয়েকজন তাদের হাতে খুনও হতো। জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি সুজন হালদার জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার মূল অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।